গণঅধিকার পরিষদের জেলার গৌরনদী উপজেলা শাখা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সংগঠনের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলার সরিকল গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমিন বাদি হয়ে সোমবার সকালে গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নুরুল আমিন জানিয়েছেন, গত তিনমাস পূর্বে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের গয়নাঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নুরুল ইসলাম বেপারীর একটি টিনসেট ঘর ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যালয় স্থাপন করে দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছেন। ওই কার্যালয়ে ৩০টি চেয়ার, টেবিলসহ নগদ এক লাখ ৪৭ হাজার ৭৩২ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাগজপত্র ছিল। রবিবার সকালে দক্ষিণ পালরদী গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি সমর্থক খলিল বেপারী ও তার স্ত্রী উপজেলা মহিলা দলের সদস্য ফিরোজা বেগমসহ তাদের ৭/৮ জন সহযোগিরা দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে যতোটুকু জানা গেছে তাতে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্ধের কারণে মালামাল বের করে কক্ষ তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের নুরুল আমিন নামের একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে ওসির বক্তব্য প্রত্যাখান করে নুরুল আমিন বলেন, কার্যালয়ে সাইনবোর্ড রয়েছে। সেখানে আমাদের মোবাইল নম্বর রয়েছে। মালিকানা নিয়ে দ্বন্ধ থাকলে আমাদের ফোন করে মালামাল সরিয়ে নিতে বলতো। কিন্তু তা না করে কার্যালয় ভাঙচুর করে মালামাল তছনছ ও লুট করে তালাবদ্ধ করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে উপজেলা মহিলা দলের সদস্য ফিরোজা বেগম বলেন, কার্যালয়ের ওই ঘরটি আমাদের। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় নুরুল ইসলাম বেপারী আমাদের ঘর দখল করে নিয়েছিলো। আমরা সেই ঘর থেকে মালামাল বের করে বাহিরে রেখে ঘরটি তালাবদ্ধ করে রেখেছি। সেখানে কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।