১৭ বছরে সাতক্ষীরায় বিএনপি-জামায়াতের ১৩৫জনকে হত্যা করা হয়েছেÑএমন দাবি করে নবগঠিত সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাহমাতুল্লাহ পলাশ বলেছেন, ‘জনগণের নাগরিক ও ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ১৭বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করে আসছে। এটা কিন্তু ৫আগস্টের আন্দোলন না। আর এই আন্দোলন করতে গিয়ে ২০১৩ সাল থেকে সাতক্ষীরায় বিএনপি-জামায়াতের ১৩৫জনকে হত্যা করা হয়েছে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ‘কোনো দলীয় কোন্দল নয়। ভুল বোঝাবুঝি নিরসন করে জেলা বিএনপিকে নতুন করে সাজানো হবে। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত গঠনতান্ত্রিক নিয়মে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি গঠন নিয়ে জেলা বিএনপি কোনো স্বজনপ্রীতি করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের আসনভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। তারা সঠিকভাবে কাজ করছেন। আগামীতে জেলা বিএনপি হবে সুসংগঠিত একটি দল।’
তিনি বলেন, ‘এখন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময়। এর জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। তাহলেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সফলতা পাওয়া যাবে।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজকিন আহমেদ চিশতী, ড. মনিরুজ্জামান, আক্তারুল ইসলাম, আবু হাসান হাদী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শহীদুল আলম, কাজী আলাউদ্দীন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বলেন, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সুসংগঠিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে সকল প্রকার স্বজনপ্রীতির উর্দ্ধে থেকে আমরা এই ৬জন দলের স্বার্থে কাজ করে যাবো। শৃঙ্খলাবিরোধী সকল কাজকে আমরা কঠোরহস্তে দমন করবো।
তিনি আরো বলেন, দলকে সু-সংগটিত করতে সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে চারজন যুগ্ম-আহবায়ককে দায়িত্ব দিয়ে ভাগ করেছি। প্রত্যেকটা ইউনিয়নের সার্চ কমিটি করবো। দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা এ দলের সাথে আছেন তাদেরকে আমরা মূল্যায়ন করবো।
সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ আরও বলেন, সাতক্ষীরায় নতুন করে বিএনপি করতে গেলে তাকে পরীক্ষা দিতে হবে। কাজ করতে হবে। যারা ১৭ বছর ধরে এ দলের জন্য সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের আন্দোলন একদিনের নয়, আমাদের আন্দোলন দীর্ঘ ১৭বছর ধরে।
তিনি বলেন, দলীয় কোন্দলটা সব বড় দলেই থাকে। যে কারণেই হোক না কেন সাতক্ষীরায়ও এটা ছিল। এখন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নেতা বানাবে, গ্রুপিংয়ের আর কোনো সুযোগ থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরায় ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি গঠন নিয়ে কোনো স্বজনপ্রীতি হবে না। আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের আসন ভিত্তিকভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। আগামীতে জেলা বিএনপি হবে সুসংগঠিত একটি দল। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে সাতক্ষীরাকে আমরা ৪টি আসনে ভাগ করেছি। প্রত্যেকটা ইউনিয়নের সার্চ কমিটি করব। দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে যারা এ দলের সঙ্গে আছেন তাদের আমরা মূল্যায়ন করব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়-সাতক্ষীরায়-১ সংসদীয় আসনের কলারোয়া উপজেলা, কলারোয়া পৌরসভা ও তালা উপজেলার টিম লিডার জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবুল হাসান হাদী, সাতক্ষীরা-২ সংসদীয় আসনের সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও সাতক্ষীরা পৌরসভায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ড. মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা-৩ সংসদীয় আসনের আশাশুনি উপজেলা, দেবহাটা উপজেলা ও কালিগঞ্জের নদীর এ পাড়ের ৪টি ইউনিয়নের দায়িত্বে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক গাজী আকতারুল ইসলাম এবং সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনের শ্যামনগর উপজেলা, শ্যামনগর পৌরসভা ও কালিগঞ্জের নদীর ওপারের ইউনিয়নগুলোর দায়িত্বে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক তাসকিন আহমে চিশতি।