দে দে মরন কামড় দে। আর দেরি করিস না। অস্তিত্বে শেখ হাসিনা। ২৪ সালের ২১ জুলাই পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা, জেএইচ খান লেলিনের ফেসবুক স্টাটাস কে ঘিরে উত্তপ্ত কলাপাড়া। তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আলটিমেটাম দিয়ে বুধবার সকাল থেকে শহরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ছাত্র জনতা। তবে ডা. লেলিন নিজস্ব ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে তার আইডি হ্যাক হয়েছে বলে দাবি করেন। কলাপাড়া হাসপাতালে প্রায় ১৪ বছর ধরে চাকুরী করে আসছে ডা. লেলিন। এ ১৪ বছরে তাকে একাধিকবার বদলি করা হলেও অজ্ঞাত খুঁটির জোরে আবার কলাপাড়া হাসপাতালে ফিরে এসেছেন। দীর্ঘ বছর ধরে এই হাসপাতালেরই আরএমও'র দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ ১৪ বছরে তার বিরুদ্ধে একাধিক রোগীকে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগসহ সার্টিফিকেট বানিজ্যের অভিযোগ উঠে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়। এমনকি রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। তবে অদৃশ্য শক্তির জোরে প্রতিবারই সে বের হয়ে যায়। কলাপাড়ী চাকরি কালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক ক্লিনিক ব্যবসাসহ জমির ব্যবসার অভিযোগ ওঠে। তিনি নিজে তৈরি করেছেন বাগান বাড়ি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় তার বেপরোয়া চিকিৎসা বাণিজ্যে উপজেলা বাসী জিম্মি হয়ে পড়ে। আর এটি ধারাবাহিকতায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তার স্বৈরাচারের পক্ষে স্ট্যাটাস এখন ফেসবুকে ভাইরাল হলে উত্তপ্ত হয়ে উঠে কলাপাড়া। বুধবার সকালে কলাপাড়া ছাত্র জনতার ব্যানারে স্বৈরাচারের দোসর ডাক্তার লেলিনের অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে শত শত মানুষ। এ সময় তার অপচিকিৎসায় মৃত রোগীর স্বজনরা বর্ণনা করেন তাদের স্বজন হারানোর দুঃসহ স্মৃতি মানববন্ধনে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতা ও এলাকার মানুষ বলেন, ডাক্তার লেলিন গত ১৪ বছরে কলাপাড়ায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। তার অপচিকিৎসায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কলাপাড়ায় ল্যাব ক্লিনিক ব্যবসা কে বাণিজ্যিকরণ করেছেন। সাবেক স্বৈরাচারের দোসর হয়ে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করে ছাত্র আন্দোলনের সময় স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলেছেন। আবার এ সরকারের সময় সে পদোন্নতি পেয়ে হাসপাতালের প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েছেন। এটা কিভাবে সম্ভব। তাকে দ্রুত অপসরণের দাবি করেন তারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের যুগ্ম সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান রাফি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডাক্তার লেলিনকে কলাপাড়া থেকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া না হলে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও কর্মচূষ পালন করা হবে। ছাত্র জনতার এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলত রাজি হননি। ডা. জেএইচ খান লেলিন। তবে তার নিজস্ব ফেসবুকে বলেন, তার আইডি হ্যাক হয়েছিল। সে এই স্টাটাস দেন নি। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।