হাইকোর্টের আদেশে পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ৩ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কপি আইনজীবী সমিতির সভাপতির কাছে স্পেশাল মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পৌঁছানো হয়। আজ ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরদার ফারুক আহমেদ জানিয়েচেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারী অ্যাডভোকেট মো. আলী শাহ জামাল ও রাবেয়া খাতুনসহ ১৮ জন আইনজীবীর রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এর বিচারক বিচারপতি মো. আক্রাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে. এম. রাশেদুজ্জামান রাজা ওই আদেশ দেন। পিরোজপুর জেলা বারের নির্বাচনে রীট আবেদনকারীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করায় তারা হাইকোর্টে ১০ ফেব্রুয়ারী ২৪৬২/২০২৫ নং রিট পিটিশন করেন। পিটিশনে আইন সচিব বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, সচিব, পিরোজপুর জেলা বার এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারকে প্রতিপক্ষ করা হয়। হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চ প্রাথমিক শুনানী শেষে নির্বাচন কমিশনকে রিটকারীগনকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনসহ নির্বাচন অনুষ্ঠান তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। জেলা বারের সভাপতি সরদার ফারুক জানান, যারা রীট পিটিশন করেছেন তারা পিরোজপুর জেলা বারের নিয়মিত সদস্য না থাকায় সাধারন সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভোটার তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি বলেন রিটকারীরা অনেক তথ্য গোপন করে পিটিশনটি করেছে। এদিকে নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় পিরোজপুর বারের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার সকালে জেলা জজ আদালতের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন বক্তারা বলেন, কতিপয় আইনজীবী যারা কোনদিনই পিরোজপুর বারে প্রাকটিস করেন নাই, শুধুমাত্র না না ভাবে লাভবান হতে ভোট মৌসুমে ভোটার হয়ে ভোট দেন। তারা নিয়মিত প্রাকটিশনার না হওয়ায় বারের বিশেষ সাধারন সভায় তাদেরকে বোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একটি স্বার্থাণ্বেষী মহল একটি সুন্দর নির্বাচন বাঞ্চাল করতে ওই রিট করায় তাদেরকে ধিক্কার জানান বক্তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন, আব্দুর রাজ্জাক খান, মোস্তফা কামাল, সৈয়দ সাব্বির আহমেদ, মুনসুর উদ্দিন হাওলাদার, আকরাম আলী মোল্লা, খায়রুল বাশার শামীম প্রমুখ।