সরকারী জায়গা দখল করে ভবন ও প্রাইভেট স্কুল নির্মানের অভিযোগ

এফএনএস (মোঃ শহিদুল ইসলাম; লালমোহন, ভোলা) : : | প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
সরকারী জায়গা দখল করে ভবন ও  প্রাইভেট স্কুল নির্মানের অভিযোগ

ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনের স্থানে পরিষদের নামে  রেজিস্ট্রিকৃত ৩২ শতাংশ জমিতে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া জবর দখল করে  বহুতল ভবন নির্মাণ করে লর্ডহার্ডিঞ্জ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  স্থাপিত করে তার ছোট ছেলে মো. আবুল হাসনাত তানজিলের মাধ্যমে পরিচালনা করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নামে লর্ডহার্ডিঞ্জ মৌজার ৩৪নং তৌজি ভূক্ত জেএল ৫০ নং,  আর এস ৫৮, এস এ ৭০ এবং নকশার ৩৮৭,৩৮৮,১৪৭৭,১৪৭৯,১২২৫, নম্বর দাগ ভূক্ত জমি  ০৯/০৬/১৯৮৫ ইংরেজি সনে জবেদ আলী পিতা মৃত  নজর আলী ও আব্দুল আজিজ পিতা মৃত বাদশা মিয়া নামের দুজন ব্যক্তি ১৬ শতাং করে ৩২  শতাংশ জমি লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান প্রিয় লালমোহন উপজেলাকে কবলা দলিল  বা রেজিস্ট্রারি করে দেন যার দলিল নম্বর - ৪৭৬৬ ও ৪৭৬৭ ।  দাতাদের দেওয়া উক্ত ৩২ শতাংশ জমিতে ওই বছর থেকেই   ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়। ইউনিয়ন পরিষদের  ওই জমিতে তৎকালীন সরকার একটি একতলাবিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ করে পরিষদের কার্যক্রম বেগবান করেন।  পরিষদের নামে মাঠ জরিপে ওই জমি হাল রেকর্ড করা হয় যাহার ডিপি নম্বর ০৬।  ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী একতলা ভবনটি জরাজীর্ণ না হলেও  লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের  সহ সভাপতি ও লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের   চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া টেন্ডারের মাধ্যমে ভেঙ্গে নিয়ে যায় এবং উক্ত জায়গা জবর দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন এবং ওই ভবনে রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ করে তার ছেলের মাধ্যমে পরিচালনা করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা  । স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সরোয়ার, হারুন মাতাব্বর,আব্দুর রসিদ,আলী হোসেন, মোঃ ইব্রাহিম, জুয়েল মিয়া, ইদ্রিস মেস্ত্রী, আবুল কাশেম হাওলাদার, মো. জসিম, মোঃ শামসুদ্দিন, শাখাওয়াত হোসেন, মোঃ রাকিব  সহ নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব জায়গায় চেয়ারম্যান জবর দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। আমরা চাই পরিষদের  নিজস্ব  জায়গায় পরিষদের কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা হউক। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও  অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান এর ছেলে উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন জুলহাস লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার সংলগ্ন সৈয়দাবাদ কমিউনিটি ক্লিনিকের  সিএইচসিপির চাকুরী নিয়ে নিজে ডিউটি না করে অন্য  লোক দিয়ে পরিচালনা করাচ্ছেন এবং তিনি বেতন ভাঁতা ভোগ করছেন। আরও জানা যায়  তিনি চরফ্যাশন উপজেলার ফাতেমা মতিন কলেজেও চাকুরী করেছেন।  এক ব্যক্তি দু জায়গায় চাকুরীর বিষয়টি বর্তমানে সমালোচনার ঝর উঠলেও গত আওয়ামী লীগের শাসনামলে কেউই মূল খোলেননি তাদের ক্ষমতার দাপটের  ভয়ে । চেয়ারম্যান নিজের নামীয়  কম দামী অন্য জমিতে পরিষদের  ভবন নির্মাণ করিয়েছেন । ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব জায়গা জবর দখলের ব্যাপারে লর্ড হার্ডিঞ্জ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মোঃ আবুল হাসনাত তানজিল বলেন উক্ত ভবনটি চেয়ারম্যান এর ছেলে আমার বড় ভাই যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন জুলহাস ও (আমার বাবা) চেয়ারম্যান থেকে ভাড়া নিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন জুলহাস বলেন, আমি কমিউনিটি ক্লিনিকে সময় দিতে পারিনা তাই চাকুরী ছেড়ে দেব। আর আমি কলেজে চাকুরী করি সেখানে এখনও বেতন ভাতা হয়নি। লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন  পরিষদের নিজস্ব জায়গা জবর দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের ব্যাপারে উক্ত পরিষদের  চেয়ারম্যান ও উপজেলা  আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম মিয়া বলেন ওই জমি আমার আমার কাগজ পত্র আছে আমি ঢাকায় আছি দেশে আসলে  আপনাকে  দেখাব । এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহ আজিজ প্রতিনিধি কে বলেন, তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে  আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW