কোভিড-১৯ বহনকারী করোনা ভাইরাস। লন্ডভন্ড করে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। যান চলাচল প্রায় বন্ধ। ঘরবন্দী হয়ে অসুস্থ মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এখন মাঠে নেমেছেন ভেড়ামারা প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন। ১০ সদস্যের ফ্রি মেডিক্যাল টিম গঠন করে এখন ছুটে বেড়াচ্ছেন ভেড়ামারার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। পৌছে যাচ্ছেন প্রত্যান্ত অঞ্চলে। যেখানে এখনো পৌছেনি চিকিৎসা সেবা। আশে পাশে নেই কোন হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং চিকিৎসকের কর্মকান্ড। একটি এম্বুলেন্স এবং ছোট পিকআপ নিয়ে সেখানে পৌছে যাচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিশনের মেডিক্যাল টিম। টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সংগঠনের সভাপতি, দি পপুলার ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস পয়েন্টের পরিচালক, সাপ্তাহিক কুষ্টিয়ার মুখ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডাঃ আমিরুল ইসলাম মান্নান।
সকাল সাড়ে ৯টায় ভেড়ামারা প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন’র ফ্রি মেডিক্যাল টিম উপজেলা চত্বরে সমাবেত হয়। সেখানে মেডিক্যাল টিমের কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান মিঠু এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ। এরপর মেডিক্যাল টিম আসেন গোলাপনগরের প্রত্যান্ত অঞ্চল গোপিনাথপুর টিকটিকি পাড়ার চর মোকরিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন ডাঃ নুর ইসলাম’র নেতৃত্বে গঠিত ১০ সদস্যের মেডিক্যাল টিম ওই এলাকার প্রায় ২ শতাধিক অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেন এবং বিনামুল্যে বিতরন করেন ঔষুধ।
আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে চরমক্রান্তি চলছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষ এখন ঘরবন্ধী। ঘরে রয়েছে অসুস্থ মানুষ। তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেয়। তাদের ঘরে ঘরে চিকিৎসা সেবা পৌছে দিতেই আমাদের প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন’র এ কর্মকান্ড।
ভেড়ামারা মাহমুদা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী এবং আমার আঙ্গীনায় গামা’র ক্লিনিক মেডিক্যাল টিমের পরিচালক সাহেদ আহমেদ গামা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ খুব অসহায় জীবনযাপন করছে। ফ্রি মেডিক্যাল টিমের কারনে মানুষের দৌড় গৌড়ায় পৌছানো সম্ভব হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
ভেড়ামারা প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি ও দি পপুলার ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস পয়েন্টের পরিচালক, সাপ্তাহিক কুষ্টিয়ার মুখ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডাঃ আমিরুল ইসলাম মান্নান জানিয়েছেন, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওর্নাস এসোসিয়েশনের মানব সেবার এ কার্যক্রম কে সাধুবাদ জানিয়েছে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন এবং সাধারন মানুষ। দেশের এমন ক্রান্তিকাল যতদিন থাকবে ততদিনই আমরা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। তিনি বলেন, আমার সাথে রয়েছে ভেড়ামারার সকল ক্লিনিক এবং ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক এবং পরিচালকরা। দেশ এবং দেশের মানুষের চরম এই সংকট কালে তারা এগিয়ে এসেছে। ফ্রি ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে আমরা একজোট হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌছে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে যাবো। তিনি ভেড়ামারাবাসীর উদ্দ্যেশে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়, চাই জনসচেতনতা। তবেই আমরা বিজয়ী হবো করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। তিনি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মেডিক্যাল টিমে অংশনেন, ভেড়াামারা দরদী ক্লিনিকের মাজেদুল হাসান মাসুম, আল নূর নার্সিং হোমের পরিচালক লোটস পারভেজ, আল জামি প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক আতিকুল ইসলাম, ডাঃ চপল, হাসিয়ারা ক্লিনিকের পরিচালক বাবু, শিল্পী ক্লিনিকের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, নয়ন ক্লিনিকের পরিচালক নয়ন আলী, হেলথ গার্টেনের পরিচালক এখতিয়ার হোসেন, মা মনি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’র ডাঃ রফিকুল ইসলাম, স্কয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের আশরাফুল ইসলাম, জনতা ক্লিনিকের পরিচালক পলাশ মাহমুদ প্রমুখ।