আজ ১৮ এপ্রিল ঐতিহাসিক বড়াই বাড়ি দিবস। ২০০১ সালে এই দিনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আর্ন্তজাতিক সীমান্ত আইন লঙ্গল করে সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে কুড়িগ্রামের রৌমারীর বড়াই বাড়ি ছিটমহলের ঘুমন্ত মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েিেছল। ধ্বংস স্তুপে পরিনত করেছিল বড়াইবাড়ি গ্রাম।
বিএসএফের সেই বর্বরোচিত ও নারকীয় তান্ডবের কথা মনে পড়লে এখনও সীমান্তবাসী ভয়ে আতকে উঠে। ছিটমহল দখলের উদ্দেশ্য বিএসএফ বড়াইবাড়ির গ্রামের বাড়ি ঘর আগুনে পুড়ে ছারখার করে ধ্বংস স্তপে পরিনত করে দেয়। জানাগেছে.ওই গ্রামের মিনহাজ আলীকে বিএসএফ বিডিআর ক্যাম্প দেখাতে বললে, তিনি কৌশলে সাহস নিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি দেখিয়ে দিয়ে,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিডিআর ক্যাম্পে খবর দেয়। তার পরই শুরু হয় গুলাগুলি ।
ওই দিন হামলার দাতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিল বিডিআর-জনতা। আর সেই প্রতিরোধে বিএসএফের ১৬ জনের লাশ ফেলে পালিয়ে যায় এবং ২ জন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বিডিআরের কাছে আটক হয়্।
শহীদ হয়ে ছিলেন ৩৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ন্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামান,সিপাহি মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সিপাহি আব্দুল কাদের।
এছাড়া আহত হন বিডিআরের হাবিলদার আব্দুল গণি,নায়েক নজরুল ইসলাম,ন্যান্স নায়েক আবু বকর সিদ্দিক,সিপাহি হামিদুর রহমান ও সিপাহি জাহিদুর নবী।
বিএসএফের আগুনে পুড়েছিল বড়াইবাড়ির গ্রামের ৮৯ টি বাড়ি। সরকারি হিসেবে মোট ক্ষতির পরিমান ছিল ৭২ লক্ষ্ টাকা যা বে- সরকারি হিসেবে ১ কোটি। কাটেনি এখনও সীমান্তের আতংক। গ্রামের মানুষ এখনও দুঃসহ স্মুতিতে আতকে উঠে ঘুমের মধ্যে। শেষ হয়নি তাদের দুঃখের দিন। সে দিনের বিজিবি(বিডিআর) সহায়তা কারী উক্ত গ্রামের মিনহাজ আলী ও সাইফুল ইসলাম লাল মিয়া জানান, গ্রাম বাসী এখনও ভয়ভীতির মধ্যে জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
গ্রামের রাস্তা ঘাট এখনও তেমন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে গ্রামটি প্রায় আড়াই হাজার লোকের বসবাস। শিশুদের পড়ালেখা করানোর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। তাদের দাবী বড়াইবাড়ি গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। তারা ১৮ এপ্রিল কে বড়াইবাড়ি দিবস হিসেবে সরকারী ভাবে স্কীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন বলেও দাবী জানান। আজ শুক্রবার দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে এলাকাবাসী।