আশাশুনিতে পাওনা টাকা ও জমি ফেরৎ চাওয়ায় দেনাদাররা বেপরোয়া

এফএনএস (জি.এম. মুজিবুর রহমান; আশাশুনি, সাতক্ষীরা) : : | প্রকাশ: ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
আশাশুনিতে পাওনা টাকা ও জমি ফেরৎ চাওয়ায় দেনাদাররা বেপরোয়া

আশাশুনি সদরে ব্যবসার পাওনা টাকা ফেরত চাওয়া এবং মৌখিক লীজ রাখা জমি ফেরত বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলায় দেনাদারদের বেপরোয়া আচরণ, মারপিট ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পাওনাদার ও জমির মালিক প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সদর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মৃত মকবুল গাজীর ছেলে মৎস্য সেটের কাটামালিক হোসেন গাজী জানান, প্রায় ১০ বছর আগে ঠাকুরাবাদ গ্রামের মৃত বলরাম সরকারের ছেলে প্রদীপ সরকার ও তাদের ভাইদের কাছ থেকে সাড়ে ৭ বিঘা জমি ক্রয় করি। তখন পৌণে দুই বিঘা জমি রেজিস্ট্রী দলিল করে নিয়েছিলাম। গত ৩ মাস পূর্বে আরও ৩ বিঘা জমি রেজিস্ট্রী হয়। সকল জমির টাকা পরিশোধ করা হলেও এখনো বাকী জমি রেজিস্ট্রী হয়নি। সকল জমি প্রদীপ মৌখিক ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু সে ঠিক ভাবে হারীর টাকা পরিশোধ করেনা। অপরদিকে আমার মাছের কাটায় নিয়মিত মাছ দেওয়ার শর্তে প্রদীপ ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা দাদন নেয় আমার কাছ থেকে। কিন্তু ঠিকভাকে মাছ না দেওয়ায় দাদনের টাকা ফেরৎ চাই এবং ইজারা দেওয়া জমি মেপে ফেরত দিতে বলা হলে সে নানা ভাবে টালবাহনা ও ঝগড়া বিবাদ করতে থাকে। বাধ্য হয়ে গত ৩ এপ্রিল দুপুর ১২ টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত ও জমি একই স্থান থেকে মাপজোক করে বুঝিয়ে দিতে বলি। তখন তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালা ও আমার উপর চড়াও হয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি অনন্যোপায় হয়ে ফিরে আসি। পরদিন বিকালে আমার ছেলেরা অন্যদিনের ন্যায় মাছের ঘেরে যাওয়ার সময় ঠাকুরাবাদ মাঠে প্রদীপের সাথে দেখা হলে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায়। এসময় প্রদীপসহ ১০/১৫ জন তাদের উপর আক্রমন করে এবং ইট ছুড়তে ছুড়তে তাড়া করে। গোবিন্দর দোকানের কাছে পৌছলে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। 

স্থানীয় নিশিথ রায়, তেজেন্দ্র মন্ডল, সঞ্জয় সরকার, মমতা রানী সরকারসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা গোবিন্দর দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম, হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি হট্টগোল দেখে দোকান থেকে বেরিয়ে দেখি প্রদীপ ও তাদের দলবল লাঠি শোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে কয়েকজনকে আক্রমন করে নিয়ে আসছে। ইট ছুড়ছে। আমরা এগিয়ে গিয়ে রবিউল, বাশারুল, আনারুল ও সেলিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার পর নিরাপদে বাড়িতে পৌছার ব্যবস্থা করি। 

পাওনাদার হোসেন গাজী জানান, আমি একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসাবে সমাজে সুনামের সাথে বসবাস করি। পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় টাকা দিতে টালবাহনা ও মৌখিক লিজ দেওয়া জমি নিজে করবো বলে মাপজোক করে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলার পর থেকে দেনাদার প্রদীপ দিং বেপরোয়া হয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। এমনকি মিথ্যা কাহিনী বাহিনী প্রোপাগান্ডা, অপপ্রচার ও থানায় অভিযোগ করে ফায়দা হাছিলের ফন্দিফিকির করে চলেছে। এব্যাপারে তিনি প্রশাসন, থানা পুলিশ ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে