নীলফামারীতে একাধিক মাধ্যেমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় নিয়ম বহির্ভুতাবে প্রধান শিক্ষক সহ একাধিক পদে একাধিক পদে নিয় বহির্ভুতভাবে উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসার ডিজি’র প্রতিনিধি মাহফুজুল হক এর স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যেমে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগকৃতরা অবৈধভাবে বেতনভাতা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগ ও বেতন ভাতার ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিস্ক্রিয়তাকে ঘিরে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, জেলার জলঢাকা উপজেলার পাঠান পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হয় ২১ জুন ২০০২ সালে। স্নাতকোত্তর সহ ১০ বছরের শিক্ষকতা/প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা চাওয়া হয় বিধি মোতাবেক। বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ ০১/০৭/১৯৯৫ হলেও বিধি লঙ্ঢ়ন করে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ১০/০৭/২০০২ সালে। তিনি যোগদানের পর হতে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতে জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ গত ১৬ বছরে ফ্যাসিষ্ট আমলে স্বেচ্ছাচারিতা আর আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে তার স্ত্রী কে লাইব্রেরিয়ান পদে গোপনে নিয়োগ প্রদান করেন। যা ঐ সময়ের সভাপতি ও অভিভাবক সদস্যদের কেউ জানেন না। আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট প্রধান শিক্ষক এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন কীভাবে এমন প্রশ্ন এখন জনমনে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা দাবী করছেন, দ্রুত এই শিক্ষককে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণ করা হোক। জলঢাকা উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক কতৃক মাধ্যেমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায় ২৫ মে, ২০১৭ ইং তারিখ থেকে ১০ জুন ২০২৪ ইং তারিখ পর্যন— তিনি কর্মরত ছিলেন। ইতোমধ্যে ঐ শিক্ষা কর্মকর্তা গত ১০/০৯/২০২৪ ইং তারিখে জলঢাকা উপজেলা হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় বদলি হয়ে। সেখান থেকে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে পিএলআর এ যায়। ঐ কর্ম সময়ের মধ্যে উপজেলার দক্ষিণ পাঠানপাড়া হালিম খাঁ বাখোরদেশ মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বেরুবন্দেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, রশিদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, গড়ধর্মপাল উচ্চ বিদ্যালয় ২০২৩ ইং সালের সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী নবসৃষ্ট ৪র্থ শ্রেণীর বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য ডিজির প্রতিনিধি দেন। কিন্তু ঐসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কোন প্রক্রিয়া গ্রহণ করে নাই। কাগজপত্রে দেখা যায় ঐসব প্রতিষ্ঠানে ডিজির প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একাধিক ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী এমপিওভুক্ত করেছে। এটা আইনত ফৌজদারী অপরাধ। ইতোমধ্যে ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি তার স্বাক্ষর জালিয়াতী করার প্রত্যায়ন দিয়েছেন। নিয়োগগুলো নভেম্বর ২০২৩ইং সালে দেখানো হলেও এমপিওভুক্ত হয়েছে ডিসেম্বর ২০২৪ ইং সালে। যা বিধিবহির্ভুত। এমতাবস্থায় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ জড়িত সকলের বিধি মোতাবেক শানি—মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান সব কিছু নিয়ম নীতির মাধ্যেমে হয় না বলে দাবী করে বলেন, আপনারা এ সব নিয়ে কেন পড়ে আছেন, তাদের রুটি রুজিতে হাত দিবেন না।