কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন সহ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ সময় পানিতে ডুবে থাকায় নির্ভর করতেন শুধু এক ফসলির ফসল বোরো ধানের উপর। এখন সেই দিন বদলে গেছে। কৃষক তার নিজের ভাগ্য কৃষি বিভাগের পরামর্শে বদলে দিয়েছেন জীবনের ভাগ্যের চাকা। এরি ধারাবাহিকতায় ধানের পাশাপাশি কৃষকরা ভূট্টা চাষে উদ্ভুদ্ধ হয়ে উঠেছেন দুই দশক ধরে। জেলার নদী, খাল, বিল ঘেরা চল ও হাওর এলাকার ভূট্টা ধরে রাখার বাস্তবতা। হাজার হাজার একর জমিতে কৃষক কম পয়সায় উৎপাদন করছেন ভূট্টা। ভূট্টা চাষের খরচ খুবই সীমিত ও সহজ। রোগ বালাই এর ঝুঁকি খুব কম। ফলন হয় বালো এ বছর যদিও খরা আদ্রতার মধ্যে ভূট্টার ফলন একর প্রতি ১০০ মন থেকে ১০৫ মন হয়েছে কিন্তু গত বছর একর প্রতি ১২০ থেকে ১৩০ মন ধর হয়েছিল। কৃষি বিভাগের এ বছর ১ মন ভূট্টা ধর ধরা হয়েছে ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা। নদীর পাড়ের পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা করে ১০০০ টাকা করে ভূট্টা ক্রয় করছেন। বিশেষঞ্জরা বলছেন হাওরের জলাবদ্ধতা সঠিক সময়ে এ চাষ করলে তা পরিবেষ ও অর্থনৈতির জন্য ইতি বাচক প্রভাব ফেলবে। এতে এটি টেকশই পরিবর্তন ধান একই সঙ্গে ভূট্টা চাষ ও করা যায়। কিশোরগঞ্জের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন হাওরের নিরাপদ ফসল ধানের পাশাপাশি ভূট্টা চাষ ও করা যায়। তবে হাওর অঞ্চলের ভূট্টা চাষের সম্প্রসারনে সরকারি ভাবে প্রশিক্ষণ বীজ ও সার সহায়তা ও দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো উন্ন জাতের বীজ সর্ভরাহ ও প্রক্রিয়া জাত করণ করলে এর পরিকল্পনা রয়েছে।