কূটনীতির রাস্তায় আজ ‘বিজয় বাংলাদেশ’

মোমিন মেহেদী : | প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম : | আপডেট: ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
কূটনীতির রাস্তায় আজ ‘বিজয় বাংলাদেশ’

৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের সরকার হিসেবে বিশ্বব্যাপী আলোচিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস ক্ষমতা নেয়ার পর কূটনৈতিক বিভিন্ন সফলতা এসেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য চিহ্নিত করেছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে নিশ্চয়তা দিয়েছে মিয়ানমার। আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ছবি ও নাম মিলিয়ে দেখার কাজ চলমান রয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে এই মূল তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। আর এই বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করলে উঠে আসে সফলতার পথচলা। শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শিউ এই তথ্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে জানান। এই প্রথম মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একটি নিশ্চিত প্রত্যাবর্তনের তালিকা প্রদান করল, যা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে আরও জানিয়েছে, মূল তালিকায় থাকা বাকি ৫ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে। বৈঠকে ড. খলিলুর রহমান মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বলেন, দুর্যোগকবলিত মানুষের জন্য বাংলাদেশ অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে। 


এই সফলতার রাস্তা ধরে যদি দেশে অর্থনৈতিক মুক্তি আসে, তাহলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন- মিয়ানমারে নৃশংস সংঘাতের অবসানের কোনো বিকল্প নেই। দেশটিতে সহিংসতার অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। এ সংকট সমাধানে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পথ নিশ্চিত করতে হবে। গেল মাসে আমি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেছি। মিয়ানমারজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার অবসান করতে হবে। 


বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে নিপীড়িত-নির্যাতিতদের রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য একটি মানবিক চ্যানেল স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে সেখানে বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করা যায়। তিনি বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে ইউএনডিপির সতর্কবার্তা রয়েছে। রাখাইন থেকে আরও বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করার জন্য জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সেখানে একটি মানবিক চ্যানেল স্থাপন করা যেতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের যদি মীমাংসা না হয়, তাহলে সমগ্র অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। বিমসটেক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, বিশেষ করে রাখাইনের বিরোধপূর্ণ পক্ষগুলোর মধ্যে সমাধানের জন্য সংলাপ চালাতে পারে। তাঁর পুরো বক্তব্যের সাথে মানবিক মানুষেরা একমত হবেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করাই তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তিনি এখানেই বলেছেন, আমি আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করেছি যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব। শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে সম্মেলন শেষে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বিমসটেক চেয়ারম্যানশিপ অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। 


অধ্যাপক ইউনূস স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন- ১৯৭১ সালে লাখ লাখ সাধারণ নারী-পুরুষ, শিশু ও যুবক একটি নৃশংস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী গণহত্যায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। আমাদের জনগণ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সংগত ও স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। দুঃখজনকভাবে, গত ১৫ বছরে আমাদের জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ ক্রমাগত তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত হতে দেখেছে। তারা রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় ও নাগরিক অধিকারের অবমাননা প্রত্যক্ষ করেছে। বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, সাধারণ জনগণ একটি নৃশংস স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই তরুণ এবং ১১৮ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তার ইতিহাসে এক নবজাগরণ প্রত্যক্ষ করেছে। 


এখন প্রশ্ন হলো- তাহলে কেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মাত্র ৮ শত প্লাস সংখ্যাকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে বারবার? যদি ২ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে, তাহলে কেন প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার পরও ভেরিফাই তথ্য এখনো নিশ্চিত করে জনগণের সামনে নিয়ে আসা হয়নি? কেন ড. ইউনূস সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় আমজনতা আর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে অগ্রসর না হয়ে সেই শেখ হাসিনার মত-ফ্যাসিজমের মত করেই কথা বলছেন তিনি। কেন তিনি বলছেন- যে-সব ছাত্রনেতা এই গণজাগরণে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, তারা তাকে অনুরোধ করেছিল এই সংকটময় মুহূর্তে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে। আমি আমাদের জনগণের স্বার্থে এই দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হয়েছি। কেন তিনি অতীতের রাষ্ট্রপ্রধানদের মত দেশের কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার পরিবর্তে কেবল শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছেন। তিনিও ফ্যাসিজমের রাস্তায় অগ্রসর হচ্ছেন? এমন প্রশ্ন নির্মাণের কারণ হলো ড. ইউনূসের মত বিশ্বব্যাপী আলোচিত নোবেল বিজয়ী শেখ হাসিনার মত করেই ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠছেন যে-সব কথা বলে, তা হলো- এ কমিশনগুলো ইতোমধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছি। আমি নিজেই যার নেতৃত্ব দিচ্ছি এবং এতে ছয়টি কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন। এই কমিশনগুলো যে সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে, তা পর্যালোচনা এবং গ্রহণ করার জন্য এ কমিশন গঠন করা হয়েছে। সরকারপ্রধান আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি আরও চারটি কমিশন গঠন করেছে, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম এবং নারী অধিকারসংক্রান্ত নীতিগত সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে। তিনি আরো বলেছেন, আমরা যখন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করছি, তখন আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে অবিচলভাবে কাজ চালিয়ে যাব, তারা নারী হোক কিংবা জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হোক। একটা অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এবং কাজের কথা কি তিনি ভুলে গেছেন? কি চাইছেন তিনি? এমন অনেক প্রশ্ন করেছেন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা। তারা বলতে চান- নির্যাতন-নিপীড়নমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারা আইনের সংস্কৃতি চর্চার পথে এগিয়ে চলা লোভ- মোহহীন নিমগ্ন বাংলাদেশ। 


সেই সাথে তৈরি হওয়া অন্ধকার থেকে মুক্তি চায় আমজনতা। বাংলাদেশ-ভারত অতি নিকটতম প্রতিবেশী এবং উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা ইস্যু থাকার পরও শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে গণহত্যার বিচার। এমন এক ব্যক্তিকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে দুদেশে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠা কার্যত অসম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে দুদেশের পররাষ্ট্র নীতি এক ধরনের জটিল সমীকরণের দিকে এগোচ্ছে। যদিও ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইন বৈঠক হয়েছে ড. ইউনূস ও মোদির। বৈঠক হওয়ার পর প্রকাশ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে যাচ্ছে বলে মনে করা হলেও বাস্তবে টানাপোড়ন থেকেই যাচ্ছে। এর আগে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি দিলেও তার জবাব দেয়নি ভারত। উলটো জনগণের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসককে প্রশ্রয় দিচ্ছে ভারত। শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে তা দুদেশের সম্পর্কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ভারতে বসে নানাভাবে যে ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন, সেটা বন্ধ না হলে এটা করলে প্রতিবন্ধকতা বাড়বে বলে আমি মনে করি। 


এখানে বলে রাখা প্রয়োজন- বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে দুদেশেরই পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ শুধু ৪ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য করেছে, এবং বাকি ১৪ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়েছে ভারত থেকে। বাংলাদেশে বিরাটসংখ্যক ভারতীয় কাজ করেন। বিদ্যুৎ খাতসহ নানা সেক্টরে ভারতীয় বিনিয়োগ রয়েছে। ভারতের পর্যটন শিল্পের সবচেয়ে বেশি আয় হয় বাংলাদেশিদের থেকে। এছাড়া ভারতের জন্য একটা বড় দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো, শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক এলাকা। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে একটা বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থা চালু রাখাও ভারত জরুরি মনে করে। আছে সেভেন সিস্টার্স নিরাপত্তা ইস্যুও। ফলে ভারত চায় না এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বন্ধ থাকুক। বাংলাদেশের জন্যও সবচেয়ে নিকটতম ও বড় প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতা কাটানো উচিত। বিশেষ করে পানি চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছে। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব ভিসা জটিলতাও কাটাতে চায় বাংলাদেশ। বাণিজ্য বৈষম্যও কমিয়ে আনাও জরুরি। ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আক্রোশে পালিয়ে যান ভারতে। ফলে এখন তার ভারতে অবস্থান যদি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংকটে রূপ নেয়, সেটা কারও জন্যই খুব সুখকর হবে না এটাও সত্য বলে আমি মনে করি। এমতাবস্থায় ভারত বিষয়ে আমাদেরকে আরো গভীরভাবে ভেবে-চিন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে করে রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান আরো শক্তিশালী করার জন্য নিরন্তর এগিয়ে চলার পাশাপাশি ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানকে বুকে রেখে চলুন বয়কট করি নব্য ফ্যাসিস্টদেরকে। যারা গাড়ি-হুন্ডা-গুন্ডার মহড়া দিয়ে আরো একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বপ্ন দেখছে, তাদেরকে না বলুন...


লেখক : মোমিন মেহেদী; ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক পূর্বাভাস

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW