নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করায় সভাপতি ও সম্পাদকসহ অন্যরা কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে মুজিব কলেজ ক্যাম্পাস ও কেটিএম হাট এলাকায় দুই দফায় ওই হামলায় আহত পদত্যাগী সহ-সভাপতি কাজী ফজলে এলাহী (২৪) বসুরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার পর আহত ফজলে এলাহী রাতে বাদি হয়ে সদ্য ঘোষিত সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম সাইমুন (২৯), সাধারণ সম্পাদক অরুপ মজুমদার(২৭), মো. আকিব(১৯) ও মো. শান্ত (১৯) সহ অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ওদিকে আহত ছাত্রদল নেতাকে রাতে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন উপজেলা ও পৌরসভার নেতৃবৃন্দও। এ সময় ওই ছাত্রদল নেতার উন্নত চিকিৎসার নেতৃবৃন্দরা আশ্বাসও দেন।
এই বিষয়ে আহত কাজী ফজলে এলাহী অভিযোগ করে বলেন, গত ২৩ মার্চ ছাত্রদলের সরকারি মুজিব কলেজ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা, কিশোরগ্যাং সদস্য ও বিতর্কিতদের নাম থাকার প্রতিবাদে কমিটি ঘোষণার পরদিন কমিটির সহ-সভাপতি কাজী ফজলে এলাহীসহ ৬ জন পদত্যাগ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে সভাপতি সাইমুন ও সম্পাদক অরুপ মজুমদারের নেতৃত্বে ফজলে এলাহীর ওপর হামলা করে।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অভিযোগ করে সে। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে কেটিএম হাট এলাকায় পূনরায় হামলা করে সাইমুন, অরুপ, শান্ত, আকিবের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন।
এতে হামলাকারীরা ফজলে এলাহীর ডান পা, মাথা ও হাতসহ শরীরের একাধিক স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। বর্তমানে বসুরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী ফৌজুল আজিম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।