জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫২টি পরিবারের মাঝে ষাঁড়, বকনা গরু ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৭এপ্রিল) বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সমতল ভূমিতে বসবাসকারী অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণি সম্পদের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগিদের মাঝে এসব ষাঁড় ও বকনা গরু বিতরণ করা হয়।
উপকরণের মধ্যে ছিল গরুর ঘর নির্মাণের ৫ পাতা টিন, ৪টি ঘরের খুঁটি ও দুই টি করে রাবার ম্যাট সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব গরু বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র রায় ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, আলামপুর ইউনিয়নের হোসনে আরা, মামুদপুর ইউনিয়নের মিলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত বলেন, সমাজের পিছিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়কে উন্নয়নের কাতারে নিয়ে আসার জন্য গবাদি পশু দ্বারা তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা ঘোরাতে সম্ভব।
উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের সুবিধাভোগী আদিবাসী নারী সাগরিকা বিশ্বাস বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে গরু টিন আর ঘরের খুঁটি দেওয়া হয়েছে। সেটি পেয়ে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। একটি বকনা গরু থেকে যেন আমি আরো অনেক গরু পালন করতে পারি।
আরও বক্তব্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় যারা সুবিধা পেয়েছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী সামাজিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এর জলন্ত উদাহরণ বড়তারা ইউনিয়নের সাগরিকা বিশ্বাস। সেই লক্ষ্যে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। এই বিতরণের পূর্বেও বকনা গরু, মুরগি, ভেড়া ও ষাড় গরু বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।