মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোগলাকান্দি গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার দুইদিন পর মামলা হয়েছে। গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়,শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলার বাদী বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম মেম্বার।
স্থানীয়রা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়িতে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক থাকলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
খবর নিয়ে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটায় সংঘর্ষে জড়ায় ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম মেম্বার গ্রুপ ও লালু-সৈকত গ্রুপ। প্রথমে লালু-সৈকত গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় আমিরুল মেম্বার গ্রুপের লোকজন। এসময় সংঘর্ষে আমিরুল মেম্বার গ্রুপের একজন মারা গেছে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়, এতে আরো উত্তপ্ত হয়ে পরিস্থিতি। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর লালু-সৈকত গ্রুপের লোকজন আমিরুল মেম্বার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় একটি বসতঘরে ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে তারা। উভয় পক্ষের মধ্যে চলে গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা। রাতভর থেমে থেমে গুলিবর্ষণ এবং ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, ' বৃহস্পতিবার রাতভর গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনলেও শুক্রবার সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। গ্রেপ্তার আতঙ্কে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে'।
স্থানীয় বাসিন্দা শওকত হোসেন বলেন, ' দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বন্ধ করা দরকার '।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ' এ বিষয়ে উভয় পক্ষ থেকে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একটি মামলা হয়েছে। আরেকটি অভিযোগ আমরা তদন্ত করে দেখছি। আসামি আটকে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে '।