অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠে ৩০ ও ৩১ মার্চ ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এন. এম. আবদুল্লাহ-আল-মামুন এ আদেশ জারি করেন। আদেশে বলা হয়েছে, ঈদের নামাজ আদায় নিয়ে একাধিক পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ১৪৪ ধারার আওতায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজ রোববার ৩০ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল সোমবার ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) জনসাধারণের উপর বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে, ঈদগাহ মাঠ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, মাইকিং বা উচ্চ শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েত, সভা-সমাবেশ ও মিছিল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত আদেশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী, ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে এবং পাগলা থানার ওসিকে এলাকা ও আশপাশে আদেশ প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শত বছরের পুরনো লামকাইন ঈদগাহ মাঠে বিগত ২০/২১ বছর ধরে ঈদের নামাজের ইমামতি করছেন আলেমেদ্বীন মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী। হঠাৎ এলাকায় কিছু লোকজন উনাকে বাদ দিয়ে অন্য একজন ইমামের ইমামতিতে নামাজ পরতে চান। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ইমাম বিরোধের জের ধরে কিছুদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঈদের নামাজ পড়া ইমামকে কেন্দ্র করে লামকাইনবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া গোটা গ্রামবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এন. এম আব্দুল্লাহ আল মামুন ও পাগলা থানার ওসি মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।