চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সদ্যবিবাহিত প্রবাসী যুবক মোহাম্মদ নুরুদ্দীন মঞ্জুর (৩৫) মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেল নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার সময় ছিটকে পড়ে যায় হালদা নদীতে। এরপর নদীতে তেমন পানি কিংবা স্রোত ছিল না। তবুও অজানা কারণে মরদেহ খুঁজে পেতে সময় লেগেছে প্রায় সাত ঘণ্টা।
এদিকে, ছেলেকে জীবিত ফিরে পাবার আকুতি জানিয়ে নদীর তীরে বসে বাবার মর্মস্পর্শী মোনাজাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শত শত স্থানীয় জনতা নদীর তীরে ভিড় জমায়।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সুয়াবিলের সিদ্ধাশ্রম ঘাট এলাকায় ভেসে ওঠার পর ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত মঞ্জু ফটিকছড়ির সুয়াবিলের নুরুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পরিবারের একমাত্র সন্তান নুরুদ্দীন বিদেশে থাকেন। মাস খানেক আগে দেশে ফিরে নিজের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেন।
স্থানীয় ভুজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুল হক সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নুরুদ্দীন তার এক বন্ধু তাজউদ্দীনকে নিয়ে মোটর সাইকেলে করে সুয়াবিলের সিদ্ধাশ্রম ঘাট এলাকায় একটি বাঁশের সাঁকে পার হচ্ছিলেন। মোটরসাইকেল সাঁকোর মাঝামাঝি পৌঁছার পর সেতুর নড়বড়ে অংশে সেটি কাত হয়ে যায়।
এতে দুই জন ছিটকে নদীতে পড়ে যান। তাজউদ্দীন সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নুরুদ্দীন নদীতে তলিয়ে যান।
পরবর্তীতে নদীতে একজন নিখোঁজের তথ্য পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তারা অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি। স্থানীয় লোকজনও খোঁজাখুঁজি করেছে। রাত আনুমানিক ২টা কিংবা তারও কিছু পরে লাশটি ওই এলাকায় নদীতে ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা সেটি উদ্ধার করেছেন।