পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের সাদা সোনা খ্যাত ‘রসুন’ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে রসুনের ভালো দাম পেয়েও খুশি কৃষক। বিনাহালে রসুনের আবাদে এ অঞ্চলের কৃষকের জীবর পাল্টে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে ধান চাষ কমিয়ে কৃষক বিনাহালে রসুনের আবাদে ঝুঁকেছেন। যেখানে উৎপাদন খরচ কম আর লাভ বেশি। বন্যা কিংবা খরার ভয় নেই। আমন ধান কাটার পর কাদা মাটিতে কোন প্রকার চাষ করা ছাড়াই রসুনের বীজ রোপন করেন কৃষক।
চলতি বছর বাজারে রসুনের দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষক। বুধবার (৯ এপ্রিল) চাটমোহর নতুন বাজার নতুন হাটে প্রতিমণ রসুন বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনিিততে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই মসলা জাতীয় ফসল।
চলনবিল অঞ্চলের চাটমোহর,বড়াইগ্রাম,তাড়াশ ও গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রতিবছরই বিনাহালে রসুনের আবাদ বাড়ছে। সাদা সোনা রসুনের এখন ভরা মৌসুম। জমিতে থেকে রসুন তোলা,সংরক্ষণ করাসহ নানা কাজে ব্যস্ত কিষাণ-কিষাণী। ফসলের মাঠে রোদে ঝিকিমিকি করছে রসুন। চাটমোহরের দাথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের রসুনচাষি ইাবত আলী বললেন,এক বিঘা জমিতে রসুন আবাতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বালো ফলন হলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার রসুন বিক্রি হয়। তবে কোন কোন বছর দাম কম থাকায় লাভ হয়না।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিনাহালে রসুনের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৯ দশমিক ৭ মে.টন। বাম্পার ফলন ও দামে খুশি কৃষক। আর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক। বদলে যাচ্ছে জীবন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,বিনাহালে রসুন আবাদ করে এ অঞ্চলের কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছেন। তেমনি কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে মসলা জাতীয় ফসল রসুন।