জলবায়ুর সুবিচারের দাবিতে পটুয়াখালীতে জলবায়ু ধর্মঘট

এফএনএস (কাজল বরণ দাস; পটুয়াখালী) : : | প্রকাশ: ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
জলবায়ুর সুবিচারের দাবিতে পটুয়াখালীতে জলবায়ু ধর্মঘট

জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধে ও আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি না করার দাবিতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানিয়ে পটুয়াখালীতে জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

১২ এপ্রিল ফ্রাইডেস ফর ফিউচার আয়োজনে স্থানীয় ১৫ টি সংগঠন এর সহযোগিতায় পৌর শহরের ঝাউতলায় ঘন্টা ব্যাপী এই জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটে যুবকরা “কয়লা নয়, সৌর চাই - ভবিষ্যৎ বাঁচাও এখনই ভাই, “জলবায়ুর সুবিচার চাই,এখানেই এখনই”“পরিবেশ নয় পুঁজি আগে?  আমরা তা মানি না “বি ধিহঃ লঁংঃরপব, পষরসধঃব ”সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে ধর্মঘট কর্মসূচি থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।

ধর্মঘটে সংগ্রহ করা সংগঠক এস.এম. সোহান বলেন, উন্নত দেশগুলো উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত করতে গিয়ে দিনের পর দিন পরিবেশের যে ক্ষতি করছে বা করে যাচ্ছে সে প্রতিশোধই প্রকৃতি নিচ্ছে আমাদের উপর। কিন্তু প্রায়শ্চিত্তে শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে দিয়ে।  আমরা এই ক্লাইমেট স্ট্রাইক এর মাধ্যমে বিশ্ব নেতাদের জোর দাবি জানাই যে আমরা ভিকটিম হলেও আমরা তো অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করি না। তো আমাদের যে ন্যায্য পাওনা ন্যায্য হিস্যা সে হিস্যা যেন আমাদের প্রদান করে আমরা বিলিয়ন না ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়ন বাংলাদেশের মত দেশগুলোর জন্য চাই এ জন্যই আমরা এ দাবি গুলো জানাচ্ছি।

উপকূলের এই জলবায়ু ধর্মঘটে ছিলেন, লাল সবুজ সোসাইটি, পটুয়াখালীবাসী, তারুণ্যে আউলিয়াপুর, ধূমকেতু ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, ভলান্টিয়ার পটুয়াখালী, বিডি ক্লিন, ইয়ুথ পাওয়ার পটুয়াখালী, অ্যানিমেল লাভার অফ পটুয়াখালী,  দক্ষিণ বাংলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা , তরঙ্গ,ইয়ুথ ফর পলিসি, সংগঠনের  সদস্যবৃন্দ সহ স্থানীয় অন্যান্য সংগঠন এই ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে।

উল্লেখ, জীবাশ্ম জ্বালানী বৈশ্বিক ঊষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কল-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন খাত প্রতিনিয়ত যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার করে, তার ফলে বৈশ্বিক ঊষ্ণতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও গ্লোবাল নর্থের সম্পদশালী উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে মূলতঃ যুদ্ধ সংগঠিত করা এবং যুদ্ধের জন্য মদদ দেওয়া, নব্য-ঔপনেবেশিক শোষণ ও মানাবাধিকার লংঘনের মাধ্যমে। তারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নির্গমনকারী। তাদের পূজিবাদী মনোভাবের জন্য তারা পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ করার জন্য কোন কারিগরি জ্ঞানের দরকার নাই, শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সেটা বাস্তবায়নই যথেষ্ট বলে মনে করেন উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু যোদ্ধারা।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে