খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। খুলনা মহানগর শাখা বিএনি সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যান তুহিন শেখ পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ও জেলা মৎস্যজীবী লীগের নেতা। এদিকে চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার নির্দেশনা চেয়ে ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমদাদুল হক রোববার উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট চিঠি দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকা গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যায়। ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বিএনপি খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের মামলার ৪৬ নম্বর আসামী তিনি। তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর আন্তজার্তিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রদল কর্মী রকিবুল হাসান কে হত্যার অভিযোগে তার পিতা রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ১৫৬ নম্বর আসামী তিনি।
এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তিকালিন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১৭ এপ্রিল আদালতে আত্মসর্মপন করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক গত রোববার (২০ এপ্রিল)২০২৫/১১(২৮) নম্বর স্মারকে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার নির্দেশনা চাওযা হয়েছে। এছাড়া ইতোপূর্বে নির্বাচিত তিনজন প্যানেল চেয়ারম্যানের নামও উল্লেখ করেছেন ওই পত্রে।
স্থানীয়দের দাবী প্যানেল চেয়ারম্যানরা চেয়ারম্যান তুহিনের আজ্ঞাবহ। তারা যদি দায়িত্ব পায় তবে অদৃশ্যভাবে তুহিনের হাতেই থেকে যাবে ক্ষমতা। তাই মামলা থেকে রিলিজ না পাওয়া পর্যন্ত গুটুদিয়া ইউনিয়নে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যেহেতু দেশের প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, ও পলাতক চেয়ারম্যানদের পদের বিপরীতে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান করাগারে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে। এক্ষেত্রে যদি প্যানেল চেয়ারম্যানদের নিয়ে কোন আপত্তি না থাকে তবে তাদের মধ্য থেকে দায়িত্ব দেয়া হবে। এতে জটিলতা হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে।