ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ অংশে এক ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে এতে অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় বরিশাল এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের সমযপুর এলাকায় দফায় দফায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
এতে বাসটির ছাদ উড়ে যায় এবং অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। এর পরও বাস না থামিয়ে আহত যাত্রীদের নিয়েই চালক ১০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দেন। পরে আহত যাত্রীদের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে ছাদবিহীন বাসটি আটক করে জনতা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। পরে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত বাসযাত্রীরা জানান, বরিশাল এক্সপ্রেস লিমিটেডের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল। চালক বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় চালক বাসটি না থামিয়ে আরও বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে।
এসময় সমষপুর এলাকায় একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটির ছাদ বড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। যাত্রীরা চালককে থামাতে অনুরোধ করলেও তিনি তা না শুনে বাস চালিয়ে এগোতে থাকে। তারা আরও জানান, চালক দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে ছাদবিহীন বাসটি চালিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু উত্তর থানার কুমারভোগ এলাকায় সিদ্দীকিয়া মাদ্রাসার সামনে চলে আসেন। এ সময় আহত যাত্রীদের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে বাসটি আটক করে স্থানীয় জনতা।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে ছুটে যান থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।