তেঁতুলিয়ায় পার্টনার ফিল্ড স্কুলে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, সুফল পাচ্ছে চাষীরা

পঞ্চগড়ের  তেঁতুলিয়ায়  পার্টনার ফিল্ড  স্কুলে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের  ফলে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উৎপাদন সুফল পাচ্ছে চাষীরা।   

উপজলো কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি ইউনয়িনে পার্টনার ফিল্ড প্রকল্পের আওতায় স্কুল ও দলগঠণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২৩  সালের জুলাই মাসে শুরু ২০২৮ সালের জুন র্পযন্ত প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদশে (পার্টনার) প্রকপ্লের আওতায় এই পার্টনার ফিল্ড স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি স্কুলে ২৫ জন কৃষক কৃষাণি নিয়ে একটি দল। তারা সপ্তাহে একদিন ৩ ঘন্টা করে স মোট দশ দিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের উদ্দশ্যে হলো কৃষকদের কৃষি কাজে স্মাট ও দক্ষ করে তোলা। পাশাপাশি পুষ্টি উন্নয়ন, উদ্যক্তো তৈরি ও পরিবেশবান্ধব চাষাবাদের নানা প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা। 

আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলায় গ্রামের বিভিন্ন সড়কের পাশে পালাস্টিক বেছানো চাদরে বসে খোলা জায়গায় বা কোন কৃষকের বাড়ির উঠানে হাতে খাতা কলম নিয়ে বিভিন্ন বয়সের কৃষক-কৃষাণীর দল ক্লাস করছে । উপস্থিত কৃষক-কৃষাণিরা জানান তাদের হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে  পুষ্টি উন্নয়ন, উদ্যক্তো তৈরি ও পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদের নানান কলা কৌশল। অভিনয়ের মাধ্যমে শেখানো হয় সারের গুনাগুণ ও ব্যবহার। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে কৃষক-কৃষাণিরা ফসলের রোগ বালাই দমন ও উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা  ভূমিকা রাখছে। উপজলো কৃষি বিভাগের র্কমর্কতা ও উপসহকারী কৃষি র্কমর্কতাবৃন্দ স্কুলগুলো পরিচালনা করেন। উপজলোর বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে চোখে পড়ল গ্রামের প্রান্তিক  কৃষকদের এমন ব্যতিক্রমী স্কুলের দৃশ্যপট। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জীবন ইসলাম বলেন, পার্টনার প্রকল্পের আওতায় উপজলো কৃষি সম্প্রসারণ অধদিপ্তরের অধীনে পার্টনার ফিল্ড স্কুলের কার্যক্রম  পরিচালিত হচ্ছে। এ স্কুলে কৃষক কৃষাণিরা প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন কৃষি প্রযুক্তির কলা কৌশল শিখছে। 

 উপজলো কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস বলেন, ২৫ জন কৃষক কৃষাণিরা অংশগ্রহনে চাষাবাদের নুতন কলা কৌশল ও নিরাপদ সবজি এবং ধানের বীজ থেকে শুরু যে কোন ফসলের বীজ উৎপাদন  ও সংরক্ষণ  বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান লাভ করছে। ইতোমধ্যে  কৃষাণ-কৃষাণিদের মাঝে এ স্কুল সম্পর্কে বেশ আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।