দিরাই উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমির আলীর সভাপতিত্বে ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মঈণ উদ্দিন চৌধুরী মাসুক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ২১ সদস্যদের মধ্যে ২০ জন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয় দীর্ঘদিন ধরে যারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে সক্রিয় ছিল তাদের অনেকেই উপজেলার আহবায়ক কমিটিতে স্থান পায়নি। সেজন্য আমরা বিচ্ছিন্নভাবে এতদিন একসাথে বসতে পারিনি। এখন সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই এবং উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে চাই।এখন থেকে দলের সকল কর্মসূচি একসাথে একই ব্যানারে পালিত হবে, কোন বলয় থাকবে না।
সভায় জানানো হয়, আমাদের এলাকা যেহেতু এক ফসলের এলাকা সেহেতু এখন ফসল ঘরে তোলার সময়। তাই আগামী ১৫ দিন কোন কর্মসূচি থাকবে না ফসল কাঁটা শেষ হলে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে সফর করে তৃনমূলের মতামতের ভিত্তিতে ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হবে।
সভায় বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান মিয়া, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক মেয়র হাজী আহমদ মিয়া, সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ চৌধুরী, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বিএনপির সকল মরহুম নেতাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তাঁদের স্মরণে একটি শোকসভার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বিগত ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন বিশেষ করে ৫ আগষ্টের আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিএনপির চেয়ারপার্সন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দিরাই শাল্লার সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাছির চৌধুরীর রোগ মুক্তি কামনা করা হয়।
সভা বক্তব্য রাখেন আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য আব্দাই মিয়া, আব্দুর রশিদ চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী, হুমায়ুন কবির তালুকদার, কবির মিয়া, আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহানা আলম চৌধুরী, আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, নুরুল হক তালুকদার, আবু সাইদ চৌধুরী, পংকজ দাস, শোয়েব হাসান, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান চৌধুরী মিশু, সুমন মিয়া, ইফতেখার মোঃ নাবিল চৌধুরী, আবুল খায়ের চৌধুরী, কামরুল ইসলাম ও শোকেশ দাস। পরিচিতি সভা শেষে তাঁরা বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নাছির চৌধুরীর বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দিরাই বিএনপির কমিটিতে বিভিন্ন বলয়ের প্রধান্য থাকায় ত্যাগীরা স্থান পাননি। কোন দিন বিএনপির কোন মিছিল মিটিং এ আসেননি এমন লোকও স্থান পেয়েছেন কমিটিতে। একই পরিবাবেব একাধিক সদস্য ভাইা-ভাই, ভাই-ভাবি রয়েছেন কমিটিতে। কিন্তু যারা মামলা হামলার শিকার হয়েছেন জেল খেটেছেন তাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। এমনকি উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়নের কোন নেতাকর্মী স্থান পাননি উপজেলা বিএনপির কমিটিতে। যার যার বলয়ের পছন্দের লোকদের স্থান করে দিয়েছেন নেতারা।
উপজেলা বিএনপির কমিটিতে আহ্বায়ক পদ পেয়েছেন সাবেক বিচারপতি মিফতা উদ্দিন চৌধুরী রুমির লোক, প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক এমপির নাছির উদ্দিন চৌধুরীর লোক, অন্যান্য পদে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল, আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, আলী আক্বর চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র প্রার্থী ইকবাল চৌধুরী ও সুমন বলয়ের লোকজন।