দুর্নীতি ও ঘুষের আখড়ায় চৌমুহনী পিডিবি অফিস

এফএনএস (নাসির উদ্দিন মিরাজ; বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী) : : | প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
দুর্নীতি ও ঘুষের আখড়ায় চৌমুহনী পিডিবি অফিস

দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর চৌমুহনী বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। 

তাদের যোগ সাজশে নিয়ম অনিয়মে আর অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়। কথা বললে বোঝাই যাবে না যে তারা অনিয়মে জড়িত। 

অভিযোগ রায়েছে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে গ্রাহক পেয়ে থাকে সেবা। এখানে  শক্ত সিন্ডিকেট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ঘুষ। এই অফিসে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ লেনদেন হয় বলে সূত্র জানায়। আর এসব অনিয়মের সাথে জড়িত  উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান নিপুন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অফিস সূত্রে জানা যায়, কিছু নতুন কর্মকর্তা আসার পর কিছু কিছু ক্ষেএে থাকলেও বর্তমানে ঘুষ হয়ে যায় দ্বিগুণ।  মাইজদী পিডিবিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিপুণের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ।  কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করে চৌমুহনি (পিডিবি) অফিসে। এখানে এসে কে পায় কার নাগাল। যেহেতু জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী প্রতিনিয়ত বহুতল ভবন নির্মাণ হয়। পিডিবি অফিস চৌমুহনী উওর বাজারের অংশে দায়িত্ব দিয়েছেন উপসহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান নিপুনকে। নতুন ভবন করলেই লক্ষ লক্ষ টাকা বিদ্যুতের পেছনে গুনতে হয় ভবন মালিকদের। অফিস সূত্রে জান যায়, বহুতল ভবনে এসটি লাইন সংযোগ দিবে বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছি কিন্তু  দিচ্ছে সিঙ্গেল লাইন। সম্প্রতি সড়ক বিভাগ চৌমুহনী রেললাইনের পূর্ব থেকে রাস্তা প্রশস্ত করনের কাজ হাতে নেয় পিডিবিকে চিঠি দেয় খুঁটি সরাতে। অফিস লাইন দেখার  দায়িত্ব দেয় উপ সহকারী প্রকৌশলী নিপুনকে।

আর এ সব খুঁটি সরাতে অনিয়ম করেছে বলে অনেকেই জানায়।  ভুক্তভোগী হাজী ষ্টোর এর দোকানি জানান তার দোকানের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটি দেওয়ায় তিনি সাটার খুলতে পারছেন না, বিষয়টি অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেনের কাছে জানতে তার অফিসে সাংবাদিকরা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ  সহ গেলে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে  পাশে থাকা রাজমহল হোটেল ভবনের মালিক শাহিদুর রহমান স্বপন উপস্থিত হয়ে নির্বাহীর সামনে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এমনকি বলতে থাকে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের দোষর ছিল অথচ  অতীত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বিগত আওয়ামী এর সময়ে তার মামা শশুর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ আনম খাইরুল আলম চৌধুরী সেলিমের নাম প্রায় সময় তার মুখে শোনা যেত। এমনকি যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব ও নাকি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এগুলো বলে মানুষকে আতঙ্কিত রাখত। এ ছাড়াও চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল ও নোয়াখালী জেলা আ:লীগের সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদের সাথে ছিল চোখে পড়ার মতো সম্পর্ক। এক পর্যায়ে

সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলা দেওয়ার ও হুমকি দেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, উপ সহকারী প্রকৌশলী নিপুণ  খারাপ আচরণ করে বলে তার কাছে কেউ ভয়ে সেবা নিতে ও যায় না। এক মসজিদের হুজুরকে দূর-ব্যবহার  করে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অফিসে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, আগে ৮ - ১০ হাজার টাকায় মিটার লাগানো গেলেও বর্তমানে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। রমজান বিবি বাজারের দক্ষিনে প্রবাসী টাওয়ার থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিলেও এখনো মিটার দেওয়া হচ্ছে  না ওই ভবন মালিককে। পৌরসভার কিসমত করিমপুর পোদ্দার বাড়ি মিশন টাওয়ার থেকে ৯ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আগে পিলার ৫-৬ হাজার টাকায় লাগানো গেলেও বর্তমানে গুনতে হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা । অত্যন্ত ধর্মভীরু  হার্ট অপারেশন করা সাইফুল্লাহ থেকে অনৈতিক ভাবে আদায় করে  ১০ হাজার টাকা নিয়ে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। 

বর্তমানে চয়নিকা বিল্ডিংয়ে সংযোগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে ৯ লাখ টাকা নেওয়ার।

এ ধরনের দুর্নীতি গ্রস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কাছে  তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে ভুক্তভোগী একাধিক পরিবার।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে