সাতক্ষীরায় ট্রাক ভর্তি ভারতীয় উন্নত মানের শাড়ি, থানকাপড়, সিরামিক পাউডার ও পোস্তদানা ভর্তি দেবহাটার মালিকের ট্রাকসহ ৯কোটি টাকার বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন মালামাল আটক হয়েছে। সাতক্ষীরার লাবসা এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা উন্নত মানের শাড়ি, থানকাপড়, জীপসাম পাউডার, সিরামিক পাউডার ও পোস্তদানাসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা মোড় এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যরা ট্রাকভর্তি উক্ত মালামাল জব্দ করেন। তবে এ ঘটনায় বিজিবি কোন চোরালানীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি। জব্দকৃত ট্রাকসহ মালামালের মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা বলে জানায় বিজিবি।
বিজিবি জানায়, একটি চোরাচালানী চক্র ভারত থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমান ট্রাকভর্তি মালামাল নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা মোড় সংলগ্ন লস্কর ফিলিং স্টেশনের সামনে বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়নের একটি চৌকস দল অভিযান চালায়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাক ফেলে এর চালকসহ চোরাচালানীরা পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা ট্রাকটি জব্দ করে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তরে আনেন। যার ট্রাক নং-সাতক্ষীরা-ট-১১-০৬৯৬। পরে উক্ত ট্রাক থেকে ২২৬১ পিস ভারতীয় উন্নত মানের শাড়ি, ৮৯৯১ গজ জর্জেট টিস্যু থান কাপড়, ২১০০ কেজি পোস্তদানা, ৮০০ কেজি জীপসাম পাউডার ও ৮৬৩৭ কেজি সিরামিক পাউডার জব্দ করেন। জব্দকৃত ট্রাকসহ উক্ত মামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা বলে বিজিবি জানায। সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা উক্ত মালামাল অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের পর ট্রাক ভর্তি করে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় তা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একটি সূত্র মতে জানা গেছে, আটক ট্রাকটির মালিক দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম। শরিফুল গত ৪ মাস আগেও পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করতো। অথচ এলাকাবাসী জানায়, শরিফুল কিছুদিন পূর্ব থেকে আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে। যার কারনে সে তার কোমরপুরে ৩ তলা বাড়ি বানাচ্ছে। এছাড়া গত ৪/৫ দিন আগে সে একটি দামী মোটর সাইকেল ও ২টি ট্রাক কিনে নিয়ে এসে বাড়ির সামনে রেখে এলাকাবাসীকে দেখায়। রাতারাতি এত টাকা সে কোথা থেকে পেলো এটাই প্রশ্ন এলাকাবাসীর। আটককৃত মালামালগুলো শুল্ক ফাকি দিয়ে ভূয়া এলসির মাধ্যমে এনে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিলো বলে জানা গেছে।