জাপানের বিনোদন জগতের তরুণ তারকা, অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী মিজুকি ইতাগাকি আর নেই। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে নিখোঁজ হওয়ার পর দীর্ঘ কয়েক মাসের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে, অবশেষে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টোকিও থেকে। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই থেমে গেল সম্ভাবনাময় এক প্রতিভার জীবন।
মালয়েশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানায়, বৃহস্পতিবার মিজুকির পরিবার ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরিবারের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ছিলেন মিজুকি। তবু, কঠিন সময়ের মাঝেও তিনি চেষ্টা করেছেন তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, "তিনি ধীরে ধীরে কাজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তার জীবন এর আগেই থেমে গেল। এমন পরিণতি হয়তো সে নিজেও কখনো কল্পনা করেনি।"
মিজুকির পরিবার তার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে জানানো হয়, তাকে সঠিকভাবে বিদায় জানানোর সুযোগ পাওয়া যায়নি – এর জন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
মাত্র ১০ বছর বয়সে ‘স্টারডাস্ট প্রোমোশন’ নামক জাপানি রিয়েলিটি শো-এর মাধ্যমে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন মিজুকি। তিনি জাপানি পপ গ্রুপ M!LK-এরও একজন প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। এরপর একে একে জনপ্রিয় সব নাটক ও সিনেমায় নিজের প্রতিভার ছাপ রেখে যান।
তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে—
• ‘উশিজিমা দ্য লোন শার্ক পার্ট ২’ (২০১৪) - যা ছিল তার বড়পর্দায় অভিষেক।
• ‘হিবিকি’ (২০১৮)
• ‘লাভ স্টপেজ টাইম’ (২০১৯)
• ‘ইন-হাউজ ম্যারেজ হানি’ (২০২০)
এই সকল কাজে তিনি সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। অভিনয়জীবনে নতুন করে ফিরতে চাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছিলেন মিজুকি। কিন্তু জীবন তাকে সে সুযোগ দিল না। মিজুকির অকালপ্রয়াণ শুধুই জাপানের নয়, গোটা এশিয়ার বিনোদনপ্রেমীদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।