পটুয়াখালীর দশমিনায় এক গৃহবধূকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে গনধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূ বুধবার (১৬ এপ্রিল) পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে গনধর্ষনে অভিযুক্ত দশমিনা এলাকার আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে হারুন অর রশিদ (৩৮) এবং লেদু গাজীর ছেলে মাহাবুল গাজী (৩৫) দুজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) আনুমানিক রাত ৮টার দিকে উপজেলার ডলি আকবর মহিলা কলেজের পূর্ব পাশের পরিত্যাক্ত ভিটায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরনে জানাগেছে, গৃহবধূর স্বামী অসুস্থ ও চলাচলে অক্ষম থাকায় ঘটনার দিন গত (১৪ এপ্রিল) সোমবার রাত ৮টার দিকে ওই গৃহবধূ দশমিনা হাজিরহাট বাজারে মুগডাল বিক্রির নগদ টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেয়। সড়কের মাঝপথে এলে অতপেতে থাকা ধর্ষকরা তার মুখ চেপে ধরে ডলি আকবর মহিলা কলেজের পূর্ব পাশে পরিত্যাক্ত একটি ভিটায় নিয়ে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে। উপর্যুক্ত গণধর্ষনের পরে গৃহবধূকে হত্যার উদ্দ্যেশে প্রচন্ড মারধর করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে মুগডাল বিক্রির ১৫ হাজার টাকা ও কানে থাকা স্বর্নের রিং নিয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় গৃহবধূর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে। পরে গৃহবধূর জ্ঞান ফিরলে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পরিত্যাক্ত ভিটা থেকে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দেয়। ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে পরদিন মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গুরুতর আহত অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বুধবার (১৬ এপ্রিল) পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে বিচারক নিলুফা ইয়াসমিন মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার জন্য দশমিনা থানাকে নির্দেশ দেন।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল আলীম জানান, এখনো আদালতের নির্দেশের কপি তিনি হাতে পাননি পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।