বাংলাদেশের দুটি থানার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা একটি বড় ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হিসেবে সামনে এসেছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যমুনা সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত দুটি থানার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলার অধীন 'বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা' এখন থেকে 'যমুনা সেতু পূর্ব থানা' হিসেবে পরিচিত হবে, এবং সিরাজগঞ্জ জেলার অধীন 'বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা' নামকরণ করা হয়েছে 'যমুনা সেতু পশ্চিম থানা'। এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে প্রশাসনিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-২ শাখা থেকে জারি করা হয়েছে।
এর আগে, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালে, 'বঙ্গবন্ধু সেতু' নাম পরিবর্তন করে 'যমুনা সেতু' রাখা হয়। সেতুর নাম পরিবর্তনের পরে, সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের থানাগুলোর নামও একইভাবে পরিবর্তন করা হলো। এখন থেকে যমুনা সেতু’র দুই প্রান্তের থানাগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক প্রেক্ষিতে নতুন নাম ধারণ করবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর, বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গ্রহণ করা পদক্ষেপ হতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বিভিন্ন সরকারি এবং পাবলিক স্থাপনায়, বিশেষত তার পরিবারের সদস্যদের নাম যুক্ত থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে সরানোর ধারাবাহিকতাতেই এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও এই নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, তবে প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নাম পরিবর্তনকে নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। তবে কিছু ব্যক্তি প্রশ্ন তুলছেন, বঙ্গবন্ধুর নাম দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে কেন সরানো হচ্ছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই পরিবর্তন মূলত প্রশাসনিক সুবিধার জন্য করা হয়েছে এবং এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবতার নিরীখে প্রয়োজনীয় ছিল। সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপের মতো এই নাম পরিবর্তনও জনগণের জন্য উপকারী হতে পারে বলে তারা আশাবাদী।