বাজারে বেশ কিছু পণ্যেই স্বস্তি মিললেও চালে অস্বস্তি

এফএনএস অনলাইন: : | প্রকাশ: ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:২০ পিএম
বাজারে বেশ কিছু পণ্যেই স্বস্তি মিললেও চালে অস্বস্তি

রমজানে অধিকাংশ পণ্যের দাম নিম্নমুখীর দিকে রয়েছে। রোজার শুরুতে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল তাও এখন কমেছে। তবে অন্য সব পণ্যের তুলনায় বাজারে চালের দামে এখনও স্বস্তি মিলেনি। বরং তুলনা মূলকভাবে রোজার মধ্যে চালের দাম আরও বেড়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের তথ্য অনুযায়ী এ খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, রাজধানীর বাজারে ভালোমানের সরু চাল কিনতে প্রতি কেজিতে দাম দিতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মাঝারি চালের দাম ৭০ থেকে ৭৬ টাকা আর মোটা চাল কিনতে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা দিতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে।

চালের খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে তিনদফা চালের দাম বেড়েছে। সবকিছু হিসাবে নিলে কেজিপ্রতি প্রায় ৮ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। এরমধ্যে শুধু একদফা দুই-এক টাকা কমেছিল।

মোটা চালের দামও কম নয়। রামপুরাসহ হাজীপাড়া মালিবাগ মৌচাকবাজার ঘুরে অবশ্য ৫৮ টাকার নিচে কোনো মোটা সেদ্ধ চাল পাওয়া যায়নি। মোটামুটি ভালোমানের মোটা চাল কিনতে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দিতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে নিলে দু-এক টাকা কম পাওয়া যায়।

এদিকে লেবু, শসা ও বেগুনের মতো বাড়তি চাহিদার পণ্যগুলোর দাম কমছে। আগে বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকা ও শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য সবজির বাজার আগের মতো নীরব। উচ্ছে আর ঢেঢ়স ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দর কমেছে। প্রতি কেজি উচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ এবং ঢেঢ়স ৬০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

গত বছর উত্তাপ ছড়ানো পেঁয়াজেরও ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। খুচরা পর্যায়ে দেশি ভালোমানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪৫ টাকা। যেখানে গত বছর এ সময় বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে আলুর দাম অর্ধেক কমে এখন ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মোটাদাগে বলতে গেলে এ বছর পবিত্র রমজানে বেশ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে মুদিপণ্যের দাম। রোজা শুরুর আগেই বাজারে যে অরাজকতা এবার দেখা যায়নি। এ বছর এখন পর্যন্ত চিনি, খেজুর, ডালের দাম কম রয়েছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW