কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ভাগল খাঁ হাউজের দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তি মরহুম আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি নিজ গ্রাম ভাগলপুর তার বাবা মরহুম আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইন্সষ্টিটিউট সহ পৌর শহরের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ দান করেছেন। সেই শিক্ষাবিদ ভাগলপুর আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ ১৯৮৬ সনে স্থাপন করেন। এ বিদ্যালয়টি ৩৯টি বছর পেরিয়ে গেছে। এ স্কুল ও কলেজে শুধু এ উপজেলা নয় সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টায় প্রতি বছর মেধা তালিকায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার অত্র প্রতিষ্ঠানে গেলে দেখা যায় মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষার্থী ২২৫০ জন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৫০ জন, কলেজ পর্যায়ে ৮৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। এ বিদ্যালয়ের এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ৪১ জন ও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষক ৯০ জন রয়েছে। শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মিলন রয়েছে পরিপূর্ণতার মধ্যে। অত্র প্রতিষ্ঠানে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা হোস্টেল রয়েছে। শিক্ষকরা রমজানের মধ্যেও স্কুল খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে যাচ্ছেন। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উপর পরিবেশ জোরদার করেছেন। সেই পরিবেশকে সমুন্নত রাখার জন্য ও শিক্ষার্থীরা যাতে ভালো লেখাপড়ায় মনোযোগী হয় সেই জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিবছর মাধ্যমিক পর্যায়ে জেলার মধ্যে ১ম স্থান ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও একই অবস্থান রয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট শাপলা কাবএওয়্যার্ড পেয়েছেন শায়ান শরীফ। ২০২৪ সনে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে বক্তৃতা প্রথম ও কবিতা আবৃত্তিতে আব্দুল্লাহ আল হাসান মাহি, ২০১৮ তে প্রেসিডেন্ড স্কাউট এওয়ার্ড পেয়েছেন, জাতীয় পর্যায়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০২৫ রচনা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে ইশতিয়াক হোসেন খান নাবিল, কারাত জাতীয় পর্যায়ে, বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েন মো. আজুহাদ রাহিম। অত্র স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ শেখ শাহজাহান যায়যায় দিনকে গতকাল সোমবার বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল দেশের অনেক বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। তিনি বলেন, আমি যোগদান করার পর স্কুলের পরিবেশ আগের তুলনায় ভালো বলে উল্লেখ করেন।