রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বাঘা-লালপুর সড়কের বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাজুবাঘা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে দাবি করা হয়েছে, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. ফিরোজ আহম্মেদ রঞ্জু নির্বাচনের ৫ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অতি ক্ষমতার লোভের কারণে ইউনিয়ন প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করার পর জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আসলাম হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি খালেদুল ইসলাম, বিএনপির নেতা রবিউল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ মালিথা, ব্যবসায়ী বজলুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার কোৗশিক আহম্মেদ, কলেজ শিক্ষার্থী মোস্তাহিদ আলী প্রমুখ।
এ বিষয়ে বাজুবাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. ফিরোজ আহম্মেদ রঞ্জু বলেন, দেশের পট পরিবর্তনের পর কিছু পৌর মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা আত্নগোপনে যান। পরে বর্তমান সরকার সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেন। বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শুন্য হয়নি। সে জন্য বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি। আদালত ৬ মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ কার্যক্রম স্থপিত করেন। জনগণের ভোগান্তি হোক এটা আমিও চাই না। তবে এটার দ্রুত সমাধান আশা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, বর্তমান সরকারের নির্দেশা মোতাবেক উপজেলায় দুটি পৌরসভা ও ৭ ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১০ ডিসেম্বর মেয়াদ উত্তীর্ণ বাজুবাঘা, গড়গড়ি, পাকুড়িয়া, মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসকসহ ওয়ার্ড সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এরমধ্যে বাজুবাঘা ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করায় ৬ মাসের স্ট্রে করা হয়। হাইকোটের নির্দেশনা অমান্য করে নিয়োগকৃত প্রশাসকসহ পরিষদের সদস্যরা কাজ করতে পারছেনা। যার কারণে নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি বেড়েছে।