বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রাজগুরু গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার ইটের রাস্তা এক যুগেও পাকা হয়নি। দুর্ভোগে ওই গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। শিশু, বৃদ্ধ, প্রসূতি নারী, অসুস্থ রোগী ও মসজিদের মুসল্লিদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকা করণের দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। কিন্তু জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এতে সাড়া দেননি। রহমতপুর ইউনিয়নের রাজগুরু গ্রামের কেদারপুর খেয়াঘাট থেকে আঃ হাকিম ডাক্তারের বাড়ির এই রাস্তা দিয়ে শুধু রাজগুরু গ্রামের মানুষই চলাচল করে না। বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর, কেদারপুর ও রহমতপুর ইউনিয়নের মানুষও চলাচল করে থাকে।
এই ইটের রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজগুরু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা ও বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা যাওয়া আসা করেন। এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ কাইয়ুম হোসেন খান বলেন, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এই রাস্তাটি করা হয়। তারপর থেকে আর কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। থানা প্রপারে হওয়া সত্ত্বেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে।
এই গ্রামের অনেক জনপ্রতিনিধি থাকলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেননি। তারা শুধু তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তারা এই গ্রামের মানুষের সাপোর্ট নিয়ে বড় বড় নেতা হয়েছেন। কিন্তু পিছিয়ে পড়া এই গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কোন কাজ করেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ওবায়দুল হক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে রাস্তাটি সংস্কার করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।