দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পানি প্রবাহের জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয় প্রায় ৮/৯ মাস পূর্বে কিন্তু গতকাল শনিবার পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের ৪টি খুঁটি স্থানান্তর করেনি কাহারোল পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। জানা যায় কাহারোল উপজেলার সদরে দশ মাইল আমতলা মোড় থেকে সেতাবগঞ্জ যাওয়ার পাকা সড়কের দক্ষিণ দিকে ৭ শত মিটার সড়কের পাশাপাশি পানি নিষ্কাষনের ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সেই ড্রেন নির্মাণের কাজ এখনও অব্যহত রয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২ লক্ষ টাকা। পাক সড়কের ধারে ৪টি পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুতের পিলার ড্রেনের মাঝখানে রেখে ড্রেন নির্মাণ কাজ করছেন স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
কাহারোল উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আহমেদ জানান, গত ১১ নভেম্বর, ২০২৪ ইং তারিখে ৭৭১নং স্মারকে এ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কাহারোল সাব-জোনাল অফিসের বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানন্তর করণ প্রসঙ্গে আমার স্বাক্ষরিত একটি প্রেরণ করা হয়। সেই পত্রের আলোকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪-এর ৬৭৬নং স্মারকে একটি পত্র আমার দপ্তরে প্রেরণ করেন। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পাঠানো পত্রে উল্লেখ করেছেন খুঁটি স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ২৮২ টাকা জমা দেওয়া সাপেক্ষে ৪টি খুঁটি স্থানান্তর করা সম্ভব হবে বলে পত্রের মাধ্যমে তারা জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী আরোও জানান, গত ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের পত্রের দাবী অনুযায়ী খুঁটি স্থানান্তরের জন্য সমুদয় অর্থ জমা দেওয়া হলেও খুঁটি স্থানান্তর করা হয়নি গতকাল শনিবার পর্যন্ত। খুঁটি না সরানোর কারনে পানি নিষ্কাষনের ড্রেন নির্মাণের কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
গতকাল শনিবার দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কাহারোল সাব-জোনাল অফিসের এজিএম জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা প্রকৌশলী যে সময় খুঁটি স্থানান্তরের অর্থ আমাদের অফিসে জমা দিয়েছিলেন সেই সময় আমাদের সমিতিতে কোন খুঁটি না থাকার কারনে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, এখন খুঁটি আছে অচিরেই স্থানান্তর করা হবে।