ইরি-বোরো ধান আবাদে জমিতে সেচে অলটারনেট ওয়েটিং এন্ড ড্রয়িং (এ ডাব্লিউ ডি) প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক কিছুতেই সাশ্রয় হয় বলে জানিয়েছে কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর। যখন পানি দরকার, তখন সেচ দিলে আবাদে খরচ কম হয়। এছাড়াও কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালিত পার্টনার প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন নামে ২ একরের ক্লাস্টার প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ব্লক/ক্লাস্টার প্রদর্শনী বাস্তবায়নের পরে গতানুগতিক প্রকল্পের মাঠ দিবসের অনুরূপ একটি বিশেষ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে কৃষি বিভাগ যার নাম করণ করা হয়েছে ফিল্ড টেকনোলজি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম (এফটিও)। কমপক্ষে ৫০ জন কৃষক/ কৃষাণী নিয়ে বাস্তবায়িত এই কর্মসূচী ইতোমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে কৃষি প্রেমীদের মাঝে। জাত, ফলাফল, কৃষি প্রযুক্তি, রোগ-পোকা এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য সকল কিছুই উঠে আসে এই আলোচনার মাধ্যমে।
চলমান মৌসুমেই হিসেব করলে দেখা যাবে ব্রি ধান ২৮, ব্রি ধান ২৯ এর আবাদ অনেটাই কমে এসেছে সে জায়গা দখল করে নিয়েছে ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ১০০, ব্রি ধান ১০২, ব্রি ধান ১০৪ ইত্যাদি আধুনিক জাতসমূহ। পানি সাশ্রয়ী, স্বল্প জীবনকালীন, উচ্চ ফলনশীল, তুলনামূলক রোগ-পোকা প্রতিরোধী এসকল জাত ও প্রযুক্তি বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামত হিসেবে কাজ করছে পার্টনার প্রকল্পের ফিল্ড টেকনোলজি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম। জেলা সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিজ্ঞানীদের পদচারণায় ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারে এই কার্যক্রম বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, দিনাজপুরের বিরলে এডাব্লিউডি প্রযুক্তির আওতায় ৩৯৫.৫৩ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিরলে ব্রি ধান ৮৮ উপজেলায় ৯৭০ হেক্টর জমিতে, ব্রি ধান ৮৯ উপজেলায় ৮৯ হেক্টর জমিতে, ব্রি ধান ১০০ উপজেলায় ৯৮২ হেক্টর জমিতে, ব্রি ধান ১০২ উপজেলায় ৪৩ হেক্টর জমিতে ও ব্রি ধান ১০৪ উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হচ্ছে। যা খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্নতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট সহায়ক। কৃষিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে যুগান্তকারী একটি দিক।