ভালুকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে আতংক সৃষ্টি

এফএনএস (মোঃ আলমগীর হোসেন; ভালুকা, ময়মনসিংহ) : : | প্রকাশ: ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
ভালুকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে আতংক সৃষ্টি

ভালুকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক পেইজ আইডি থেকে বহুজাতিক কোম্পানি ভালুকার হবিরবাড়ী অবস্থিত কোকা-কোলা কারখানায় হামলা ও লুটপাটের মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়িয়ে শিল্প এলাকাসহ জনমনে আতংকের সৃষ্টি করেছে ফ্যাসিস্টদের দোসরা। এঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভান্তিতে পড়েন ভালুকার সাংবাদিক মহল,রাস্ট্রীয় বিভিন্ন গোয়েন্দাসংস্থা,সেনাবাহিনীসহ সচেতন মহল। ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটেযান কোকা-কোলা কারখানার সামনে। ওখানে এঘটনার কোন ভিত্তি না থাকায় কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছেন প্রসাশন। 

এলাকাবাসী জানায়, ২৪ সালের ৪ আগস্টের ছাত্রজনতার একটি মিছিলের পুরনো ভিডিও একজন সাংবাদিকসহ স্থানীয় কয়েকটি আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মধ্যম ফেইসবুক পেইজে পোস্ট করা হয়। ওই ভিডিওতে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে ইসরায়িলের পণ্য বর্জনের ডাকে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ীর শিল্পি এলাকা অবস্থিত বহুজাতিক কোম্পানী কোকা-কোলা কারখানায় তৌহিদি জনতা হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করছেন। মিথ্যা তথ্যটি ভাইরাল হয়ে গেলে ভালুকাসহ সারাদেশে তুলপারের সুষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রসাশন,পুলিশ,সেনাবাহিনী,গোয়েন্দা সংস্থা লোকজন ও গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যান। পরে কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানতে পারেন তাদের কারখায় এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে গত ৪ আগস্ট ছাত্রজনতার একটি মিছিল ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়কের পাশে হবিরবাড়ী এলাকায় কোকাকোলা কারখানার প্রধান ফটকে তখন হামলা করেছিল। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল করা হয়েছে। কারখানার কর্তৃপক্ষ জানান, কারখানায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এঘটনায় তাড়াও বিভ্রান্তিতে পড়েছেন এবং তাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এঘটনার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

ভালুকা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান,দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ফ্যসিস্টরা গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও জাতিকে এর মোকাবেলা করে সকলকেই সজাগ তাকার পরামর্শ দেন। তদন্ত করে দোষীদের খোজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। 

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল হুদা খান জানান, কোকা-কোলা কোম্পানির কারখানায়  হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারখানার নিরাপত্তার অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন। শুক্রবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কারখানাটি পরিদর্শণ কেেরছেন।বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দোষীদের খোজে বের করে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে