তানভীর হুদা

ভিটেমাটি রক্ষায় বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

এফএনএস (মাহবুব আলম লাভলু; মতলব উত্তর, চাঁদপুর) : : | প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম : | আপডেট: ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
ভিটেমাটি রক্ষায় বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

সাবেক তথ্য ও সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল হুদার জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেছেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ও জায়গা-জমি, ভিটেমাটি রক্ষা করার জন্য বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মতলবের সবাইকে একসাথে প্রতিবাদ করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে নদী ভাঙনে স্থায়ী সমাধান করা হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে নদী ভাঙনে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কোন উপকারই আসেনি। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল-২০২৫) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়া সহ বিভিন্ন এলাকার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা  বলেন। 

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বালু খেকোরা মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে হাজার হাজর কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। গত ৫ আগষ্টের পরে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীতে বালু সন্ত্রাসীরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার পায়তারা করছে। কোথাও কোথাও রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করছে। প্রশাসনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। প্রশাসনের পাশাপাশি নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। 

তানভীর হুদা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলদারিত্ব, মাদক কারবারিদের দলে কোন স্থান নেই। সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের কোন দল নেই। এদের বিরুদ্ধে বিএনপি কঠোর অবস্থানে। 

পরিশেষে তিনি নদীরক্ষা কমিশন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন। অবৈধ ভাবে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীতে বালু উত্তোলনের বন্ধে ও নদী ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। 

এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল মান্নান লস্কর, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমু, ছেংগারচর পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মানিক ফরাজী, জেলা যুবদলের সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের সুমন, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি তারেক সরকার, উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বাশার ছগির, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মহসিন মন্ডল, ফরাজী কান্দী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদ হোসেন মিন্টু, সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান লালু, গজরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, যুবদল রোমান গাজী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবদল নেতা ইমরান, বিএনপি নেতা জাকির মিজি, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য অলি দেওয়ান, বিএনপি নেতা মিনু দেওয়ান, পৌর যুবদল নেতা মো. ইদ্দিছ, যুবদল নেতা জুম্মন প্রধান, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন বেপারী, আনোয়ার হোসেন খান, সালেহ আহমদ, বাহার ইকবাল, মহসিন মীর, হান্নান মীর, সোলায়মান, করিম পাটোয়ারী, শফিক মিজি, সাত্তার, রাসেল, গোলাম হোসেন গাজী, সালাউদ্দিন, আহসান উল্লাহ মোল্লা, মঞ্জু মিয়া, লিটন বকাউল, মানিক জসিম, মবু মৃধা, ছাত্রদল নেতা রনি, যুবদল নেতা কবির হোসেন, গজরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাবু, ছাত্রদল নেতা নাদিম ভূইয়া, তানজিল প্রধান’সহ বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে