ভোলার বোরহানউদ্দিনে জমাজমি বিরোধকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ইসমাইল নামে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীরা ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীকে ফের ওমান যেতে দেবেনা বলে হুমকি দেয়ায় সে বাড়িতে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের উত্তর বাটামারা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের নজির আহমেদের বাড়িতে। এঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী মোঃ আকতার হোসেনের ভাই নজরুল ইসলাম সংঘটিত ঘটনা উল্লেখ পূর্বক প্রবাসীর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পরদিন শুক্রবার এসআই জাফরের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম জানান, পাশের বাড়ির আবদুল খালেক গংদের এর সাথে জমাজমির বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় শালিস মিমাংসা ফয়সালার রায় না মানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এতে আবদুল খালেক ও জেবল গং এর নেতৃত্বে রায়হান, জসিম, জাকিরসহ দশ বারোজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। যাওয়ার সময় তারা প্রাণ নাশের হুমকি -ধামকি দেয়। সরজমিন শুক্রবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাড়িতে গেলে প্রবাসী আকতারের ভাই খোকন মা ফখরুন নেছা ও আকতারের স্ত্রী ফারজানা ইতি জানান, হামলা কারীরা ঘরের দরজা ভেঙে সুকেচ আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এসময় একটি মোটরসাইকেল ও ভাংচুর করে তারা। আকতার হোসেন জানান, গত পনেরো বছর যাবৎ ওমান থাকি। আমার ছুটির মেয়াদ শেষ। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে আমাকে ফের ওমান যেতে হবে। তারা আমাকে হুমকি দেয়ায় ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। শুক্রবারও মসজিদে যেতে পারিনি। অভিযুক্ত আবদুল খালেক জানান, হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা সত্য নয়। আমাদের পক্ষের লোকজনের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হলে আমি সেখান থেকে আমাদের লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে আসি। বোরহানউদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, এঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করা হবে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।