দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ ধনাগোদা সেচ প্রকল্প আজ হুমকির মুখে। ধনাগোদা সেচ প্রকল্প ঘেঁষা ধনাগোদা নদীর তীরবর্তী নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফরাজী কান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়া গ্ৰামের বাড়িঘর ও ফসলি জমি। নদী শাসনের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে গ্ৰামের সর্বস্তরের নারী-পুরুষ নদীর পাড়ে ঝড়ো হয়। নদীর সংরক্ষণের দাবি জানান গ্ৰামবাসী।
উপজেলার ফরাজী কান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের প্রায় ১ কিলোমিটার শত শত একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিনই নদীর তীর ভেঙে নিচ্ছে বাদাম, ভুট্টা, ধান ক্ষেত। সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভুট্টা ক্ষেত নদী গর্ভে চলে গেছে।
জানা যায়, উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়া গ্রামের বিভিন্ন স্থাপনা, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বেশ কিছু এলাকায় আবার নতুন করে ভাঙা শুরু হয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে তিন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কোনো নজর নেই।’ ভাঙন রোধে দ্রুত পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (পাউবো) ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
মোহাম্মদ হোসেন, ইসমাইল মল্লিক, খলিল মোল্লা, মোহাম্মদ হোসেন মীর, নুরুজ্জামান দেওয়ান, রাব্বানী দেওয়ান, ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রাজিব মল্লিক, ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম তপাদার অনেকে বক্তব্য রাখেন।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর মো. সেলিম শাহেদ বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। সরজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।