চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ মুন্সিরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০টি দোকান পুরে ছাঁই হয়ে গেছে। কয়েকটি দোকান মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।শুক্রবার ( ১১এপ্রিল) ভোরে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাটি ঘটে। গত ২০ ফেব্রুয়ারী এই বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিলো।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ( ১১এপ্রিল) ভোরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা ছাড়া এটি নেভানো সম্ভব হয়নি।
আগুনের সূত্রপাতের পর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের অক্লান্ত পরিশ্রমে ৩ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ১০টি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় এবং কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে মুদি, পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স,পাইপ ফিল্টার, কনফেকশনারি সামগ্রীর দোকান ছিল, ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা কালবেলাকে বলেন, আমাদের সবগুলো দোকান মালামালে ভরপুর ছিল। দোকান ও মালামাল মিলে কয়েক কোটি টাকার উপরে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা পুরা নিস্ব হয়ে গেলাম। আমাগো পুঁজি ও জীবনের সবকিছুই আগুনে পুড়ে গেছে। আমরা সরকারি সাহায্য কি পামু?
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ হোসেন জানান,চাঁদপুর ও মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।আমরা আসার ১ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফার্সেমী,টিনের দোকান,হার্ডওয়ার,মুদি দোকান,ফলের দোকান,স্বর্নের দোকানসহ ৮/১০ টির মতো দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে আরও বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। স্থানীয়রা কার্যকর অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো মুন্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দ্রুত পুনর্বাসন সহায়তা পাওয়ার আশায় রয়েছেন।