মহেশপুর সীমান্তের ইছামতি নদীতে ভেসে থাকা মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ

এফএনএস (টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ) : : | প্রকাশ: ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
মহেশপুর সীমান্তের ইছামতি নদীতে ভেসে থাকা মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ

ঝিনাইদহের মহেশপুর ভারতীয় সীমান্তের ইছামতি নদীতে ভেসে ওঠা এক যুবকের মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ। স্থানীয়রা বলছে ওই যুবকের নাম ওয়াসিম হোসেন। সে মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসী পাড়ার রমজান আলীর ছেলে। তবে মহেশপুর থানার পুলিশ ও ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের পক্ষ থেকে যুবকের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি। তারা বলছে জায়গাটি ভারতীয় সীমানার মধ্যে হওয়ায় সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী মরদেহ নিয়ে গেছে। যে কারনে মরদেহটি কার এবং কিভাবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

শুক্রবার বিকালে উপজেলার পলিয়ানপুর বিওপি সংলগ্ন ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ধানতলা থানার হাবাসপুর এলাকায় এক যুবকের মৃতদেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে বিজিবি’র একটি দল সেখানে গেলেও জায়গাটি ভারতের মধ্যে হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি। শুক্রবার দিবাগত রাত ৯ টা ৫০ মিনিটে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মৃতদেহটি নিয়ে যায়।

ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান ঁজানান, তার ভাই ওয়াসিম ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ ৪জন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে অন্যান্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। তারা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। তিনি দ্রুত তার মরদেহ উদ্ধারের দাবি জানান।ধূড় পাচারের সময় ভারতের অভ্যন্তরে ওয়াসিমের সঙ্গে যাওয়া সলেমানপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজু, শাবুদ্দিন, মানিক ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ তাদের সঙ্গে কথা হলে মরদেহটি ওয়াসিমের বলে জানায়। গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। ভারত থেকে ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধাওয়া করলে অন্যান্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও বিএসএফ’র হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা জানান, নানা ভাবে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি মৃতদেহটি বাংলাদেশী যুবকের। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তবে এটি কার মৃতদেহ তা নিশ্চিত করেননি। সবাই বলছে মৃতদেহটি বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসী পাড়ার ওয়াসিম আলীর। বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে যোগ করেন চেয়ারম্যান।

ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল রফিকুল আলম বলেন, মৃতদেহটি নদীর ভারতীয় অংশে ইছামতি নদীতে ভাসছিল, ফলে বিএসএফ মৃতদেহটি নিয়ে গেছে। তারা আমাদেরকে মৃতদেহের বিষয়ে কিছুই জানায়নি। বিএসএফ না জানানো পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারছিনা মৃতদেহেটি কার। সীমান্ত এলাকার কেউ নিখোঁজ আছে এমন কোন অভিযোগ কয়েকদিনের মধ্যে কেউ করেনি বলে জানান তিনি।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, এটা সীমান্তের বিষয়। বিজিবি ভালো বলতে পারবে। তবে কেউ নিখোঁজ আছে গত কয়েকদিনে এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে