রাঙ্গামাটিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় শীর্ষক সেমিনার

এফএনএস (মিল্টন বাহাদুর; রাঙ্গামাটি) : : | প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
রাঙ্গামাটিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় শীর্ষক সেমিনার

প্রত্যোকটা ধর্মেই রয়েছে শান্তির বাণী ও অসামপ্রদায়িকতা বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সকলের প্রত্যোকটা ধর্মের বাণী চর্চাসহ অন্তরে ধারন করা উচিৎ। কারন ধর্মীয় বাণীগুলো বুকে ধারন করে চলতে পারলে সমাজে অন্যায় ও অনৈতিক কাজ কমে আসবে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মাইনী হলরুমে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের আয়োজনে এবং মোনঘরের ব্যবস্থাপনায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধনী বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম  বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।

বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ তত্ত্ববিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, মং সার্কেল রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট বোর্ডের ট্রাষ্টি রাজিব কান্তি বড়ুয়া। সেমিনারে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্যামল মিত্র চাকমা প্রমুখ।

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাধের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার জনগনের যে ক্ষতি হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সম্ভাবনাময় কাপ্তাই হ্রদকে কাজে লাগাতে হবে। কারন কাপ্তাই হ্রদ বর্তমানে আমাদের জন্য স্বর্ণের মতো। তাই ২৪ সালের পরবর্তী সম্ভাবনাময় কাপ্তাই হ্রদসহ পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পাহাড়ের পর্যটন, কাপ্তাই হ্রদসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে তিনি জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সেমিনারসহ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনের আহবান জানান।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরো বলেন, পার্বত্য এলাকাকে উন্নয়নের আওতায় আনতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। এই অঞ্চলে আমাদের নিজেদের গাফিলতির জন্যই অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম এগুচ্ছেনা। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষি বিভাগ এই অঞ্চলে অনেক ভালো ভালো কাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কফি চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হবে। তাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো দেশটাকে সকল সমপ্রদায়ের অধিকার রক্ষাসহ অসামপ্রদায়িকভাবে গড়ে তোলা।

সেমিনারে তিন পার্বত্য জেলার বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুসহ ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্যরা অংশ গ্রহন করেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে