জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় এস এস সি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনে বাল্যবিবাহের জন্য ৩৭জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। ফলে ৩৭ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা থেকে ঝড়ে পড়েছে। এছাড়া ১৬ জন ছাত্র দরিদ্রতার কষাঘাতের কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে ঝড়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এবছর প্রথম দিনে প্রথম পরীক্ষায় সরিষাবাড়ী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় ৩ হাজার ২শ ৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে। এরমধ্যে ১৬ জন ছাত্রী বাল্যবিবাহের জন্য ও ৭ জন ছাত্র দরিদ্রতার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
দাখিল প্রথম পরীক্ষায় ৫শ ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে। এরমধ্যে বাল্যবিবাহের জন্য ১১ জন ছাত্রী এবং ৪ জন ছাত্র দরিদ্রতার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
এএসএসসি (ভোকেশনাল) ৬শ ১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। তারমধ্যে বাল্যবিবাহের জন্য ১০ জন ছাত্রী এবং ৫ জন ছাত্র দরিদ্রতার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার খাদেমুল ইসলাম বলেন, আমার মাদ্রাসার ছাত্রী লায়লা আক্তারের বাল্যবিবাহ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
চর সরিষাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার ফারায়জুল ইসলাম বলেন, সংসারে দরিদ্রতা ও বাবা-মা মূর্খ হওয়ায় মাদ্রাসার পাঁচ ছাত্রী পরীক্ষা অংশগ্রহণের পূর্বেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে।
সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও অরুন কৃষ্ণ পাল বলেন, বাল্যবিবাহের খবর পেলেই পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে ছুটে যাওয়া হয়। বিগত দিনে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বর ও কণের বাবাকে মোবাইল কোটে জরিমানাও করা হয়েছে বলে জানান।