দুনীর্তির মাধ্যমে প্রায সাড়ে ৯ কোটি অর্জনের অভিযোগে সাবেক বে-সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড.মাহবুব আলী ও তার শামীমা জাফরিনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা করেছে দুদক। মামলার খবরে এলাকার সাধারন জন-সাধারন মিষ্টি বিতরণ করেছে। সেগুন বাগিচার দুদক কার্যালয়ে সংস্থার মহা পরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান- সাবেক বে-সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড.মাহবুব আলী প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পালনকালে ক্সমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৯১ হাজার ৭১৮ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১)ধারা এবং দুনীতি প্রতিরোধ আইন,১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
দুদক মহা পরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন আরও জানান সাবেক বে-সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড.মাহবুব আলী প্রতিমন্ত্রী’র স্ত্রী শামীমা জাফরিন স্বামীর সহযোগিতায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপ ব্যবহার করে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন,যা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১)ধারা এবং দুনীতি প্রতিরোধ আইন,১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ খবর এলাকায় পৌছলে সাধারন জনসাধারন খুশীতে মিষ্টি বিতরণ করেন। তার গ্রামের বাড়ী মাধবপুর উপজেলার বানেশ্বর গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন- এড.মাহবুব আলী প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর তার আত্নীয়-স্বজন এমন কোন অপ কর্ম নাই যা করেনি। তার এপিএস মোছাব্বির হোসে বেলাল ও আওয়ামীলীগ নেতা রহম আলী অবৈধ বালু ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও থানার দালালীর কারনে সাধারন জনসাধারনের জীবন ছিল দুর্বিসহ।
উল্লেখ্যযে ১৫ সেপ্টেম্বর মাহবুব আলীকে রাজধানীর সেগুন বাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হবিগঞ্জ-৪ মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনে ২০১৪ সাল থেকে টানা দু’বার সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি বে-সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন। গত জানুয়ারীতে অনুষি।টত দ্বদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়। তবে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়।