প্রসূতি নারীর সিজারের কথা অহরহ সকলেই জেনে আসলেও এবার গাভীর সিজার করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের বাঘার গ্রামের। ঘটনাটি লোকমুখে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গাভি ও বাচ্চা একনজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভির জমেছে। এনিয়ে পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামের শংকর হালদারের স্ত্রী পারুল হালদার বলেন, গত ১৩ এপ্রিল তার একটি গাভীর প্রসব বেদনা শুরু হলে এআই টেকনিশিয়ান হেলাল উদ্দিনকে খবর দেওয়া হয়। অনেক চেষ্টা করেও স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব করানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে উপজেলা প্রানী সম্পদ হাসপাতালের ডাক্তারদের খবর দেওয়া হয়। ওইদিনই তারা এসে আমার বাড়িতে বসেই সিজারের মাধ্যমে গাভীর বাচ্চা প্রসব করাতে সক্ষম হয়েছেন। সিজারসহ ওষুধ খরচ মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে গাভী ও বাছুর দুটোই ভাল আছে।
এআই টেকনিশিয়ান হেলাল উদ্দিন বলেন, ১৩ মাস বয়সে গাভীটিকে কৃত্রিম প্রজনন বীজ দেওয়া হয়েছিলো। এরপর থেকে মাঝেমধ্যেই গাভীটি দেখে আসতাম। ১৩ এপ্রিল দুপুরে গাভীর প্রসব বেদনা শুরু হলে আমাকে খবর দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষন চেষ্টা করে স্বাভাবিক ভাবে প্রসব করাতে না পেরে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জনকে খবর দেয়া হয়। এরপর তিনি এসে গাভীর মালিকের মতামত নিয়ে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গৌরনদীতে এই প্রথম কোন গাভীর সিজারে বাচ্চা প্রসব হয়েছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান ফরিদ বলেন, দীর্ঘ তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সিজারের মাধ্যমে গাভীটির বাচ্চা প্রসব করানো হয়েছে। বর্তমানে গাভী ও বাচ্চা সুস্থ্য আছে। গাভীটি কম বয়সে গর্ভধারন এবং বাচ্চা পরিপক্ক হওয়ায় এমনটা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।