সারাদেশের মতো সিলেট শিক্ষা বোর্ডেও বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর সিলেট বোর্ডের অধীনে মোট ৯৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪২ হাজার ১০৮ জন এবং ছাত্রী ৬০ হাজার ৮৯৩ জন। বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ আহমেদ জানিয়েছেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মোট ১৫৪টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলাভিত্তিক কেন্দ্র ও পরীক্ষার্থী সংখ্যার হিসাব অনুযায়ীÑ
সিলেট জেলায় ৩৬১টি প্রতিষ্ঠানের ৪১ হাজার ৪৮ জন পরীক্ষার্থী ৬০টি কেন্দ্রে, সুনামগঞ্জে ২২৬টি প্রতিষ্ঠানের ২১ হাজার ৪১৩ জন পরীক্ষার্থী ৩৫টি কেন্দ্রে, মৌলভীবাজারে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের ২২ হাজার ২৫৭ জন পরীক্ষার্থী ২৬টি কেন্দ্রে, হবিগঞ্জে ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানের ১৮ হাজার ২৮৩ জন পরীক্ষার্থী ৩৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ হাজারের বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার সিলেট বোর্ডে পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ হাজার ৪১১ জন। ২০২৪ সালে এ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৪১২ জন, যার মধ্যে ছাত্র ছিল ৪৫ হাজার ৬৬ জন এবং ছাত্রী ৬৪ হাজার ৩৪৬ জন।
বিভাগভিত্তিক অংশগ্রহণ বিজ্ঞান বিভাগে ২৩ হাজার ৮৮২ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্র ৯ হাজার ৬৮০, ছাত্রী: ১৪ হাজার ২০২, মানবিক বিভাগে ৭১ হাজার ৬৩০ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২৮ হাজার ৭০৭ ছাত্রী ৪২ হাজার ৯২৩ ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭ হাজার ৪৮৯ জন। এতে ছাত্র ৩ হাজার ১২১ ছাত্রী ৩ হাজার ৭৬৮।
নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর পরিসংখ্যান:
চলতি বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে ৯৭ হাজার ৯৬১ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় বসছে ৭৬ হাজার ৭৪৯ জন।
অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২৬ হাজার ২২০ জন, যাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে অকৃতকার্য এবং মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন।
অকৃতকার্যদের মধ্যে রয়েছে:
এক বিষয়ে ফেল: ১৬ হাজার ৩১৬ জন। দুই বিষয়ে ফেল: ৪ হাজার ৪৯ জন, তিন বিষয়ে ফেল: ৯৯৮ জন, চার বিষয়ে ফেল: ১৬৭ জন, সব বিষয়ে ফেল: ৪ হাজার ৬৬০ জন, মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী: ৩২ জন।
লিঙ্গভিত্তিক অনিয়মিত অংশগ্রহণ:
ছাত্র: ৩১ হাজার ১৩৪ ছাত্রী: ৪৫ হাজার ৬১৫।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নির্দেশনা
সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ আহমেদ বলেন, “পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ও অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এসব বহন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, পরীক্ষা চলাকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। প্রতিটি কেন্দ্রকেই ১৩ মে পর্যন্ত “অস্থায়ী সংরক্ষিত এলাকা”ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে (সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) জনসমাবেশ, মিছিল, উচ্চ শব্দে গান-বাজনা, মাইক ব্যবহার, অস্ত্র বা ক্ষতিকর দ্রব্য বহনসহ যেকোনো ধরনের হুমকিস্বরূপ কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।