নীলফামারীর সৈয়দপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে তা যেন সোনার হরিণের মত। অনেকের হাঁড়িতে মাসে একবারও হয়তো গরুর মাংস ওঠে না। সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি নাদিম হোসেন জানান,বর্তমানে গরুর মাংস বিক্রি করছি ৭শ টাকা কেজি দরে। তবে কোন কোন ব্যবসায়ি অধিক লাভের জন্য তারা ৭২০ টাকা পর্যন্ত দাম নিয়ে থাকে।
সৈয়দপুর কলিম হোটেল মোড়ের মাংস ব্যবসায়ি ছোট নাদিম বলেন, কোন কোন মাংসে পানি মিশিয়ে বিক্রি করা হয়। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭শ টাকা থেকে ৭২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন গরুর কলিজার কেজিও একই দাম। শুধু ফেপসা বিক্রি করা হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। গরুর ভুরি বিক্রি করা হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। পা বিক্রি হচ্ছে ৮শ টাকা থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত। তবে চামড়া ছিলে নিলে ৪টি বড় গরুর পা বিক্রি হয়ে থাকে ১ হাজার ২শ টাকা থেকে ১ হাজার ৬শ টাকায়। ছোট গরুর পা ৪টির দাম ৮শ টাকা।
গরুর মাংস কিনতে আসা ক্রেতা শামসুল হক জানান, বাসায় ছেলে মেয়ের কারণে সপ্তাহে শুধু একদিন শুক্রবার মাংস কিনে নেই। কারণ ৭শ টাকা গরুর মাংসের কেজি হওয়ায় মাংস কিনতে সাহস পাই না। আমার মহল্লার অনেকের হাঁড়িতে মাসে একবারও গরুর মাংস ওঠে না। দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকের হাঁড়িতে ওঠে না আবার অনেকে মাসে এক বারও মাংস চোখে দেখে না।
গরুর মাংস ক্রয় করতে আসা আরেক ক্রেতা বাদল মিয়া বলেন,আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। বাসায় সন্তানরা শুক্রবার গরুর মাংস খেতে চায়। কিন্তু বাজারে গিয়ে মাংসের দাম শুনে ফিরে আসি। কেমন করে এক কেজি গরুর মাংস ৭শ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। তাই সন্তানদের মুখে মাসেও এক টুকরো গরুর মাংস তুলে দিতে পারি না।
মাংস ব্যবসায়ি মতিয়ার রহমান ও ডাবলু বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ দাম বাড়ার কারণে গরুর মাংস ক্রয় করতে পারছে না। তারা বলেন গরুর মাংসের দাম আরো বাড়তে পারে কিন্তু কমবে না। তারা বলেন বাজারে গরুর দাম আকাশ ছোঁয়া। তাই বেশি দামে গরু ক্রয় করে মাংস বিক্রি করছি। গরুর দাম বেশির কারণে বাড়ছে মাংসের দাম। তাছাড়া গরুর আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে মাংসের।