স্কুল ছাত্রী অপহরণের মামলা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত মা

এফএনএস (মোঃ আব্দুল মোতালিব; তালতলী, বরগুনা) : : | প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
স্কুল ছাত্রী অপহরণের মামলা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত মা

বরগুনার তালতলীতে নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরন করে নেয় স্থানীয় নাঈম নামের এক যুবক। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি পুলিশ। অপহরণের দুই দিন পরে মামলা দিতে গেলে স্কুল ছাত্রীর মাকে লাঞ্ছিত করে থানা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উপ-পুলিশ পরির্দশক শাহ আলমের বিরুদ্ধে।বুধবার(২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে স্কুল ছাত্রীর মায়ের সাথে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগি পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকার বাবুল সরদারের ছেলে নাইমসহ তার পারিবারের লোকজন একই এলাকার নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে গত ২২ এপ্রিল সকালে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দুপুরেই স্কুল ছাত্রীর মা থানায় এসে মেয়ে উদ্ধারের জন্য একটি অভিযোগ দেন। ভিকটিমকে উদ্ধারে গড়িমসি দেখালে মা বাদী হয়ে ২৩ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে মামলা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার (এসআই) শাহ আলম স্কুল ছাত্রীর মাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থানা থেকে বের করে দেন। পরে বাদীর পরিবার ফের ঐ এসআই’র কাছে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি যা করছি বা বলছি, এ জন্য আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন? তবে করেন। বা আমার বিরুদ্ধে মামলা দিবেন ? তবে দেন।


এবিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ে অপহরণ হওয়ার পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেই। তবে আমার মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশ গরিমসি করেন। এরপরে আমি আজ রাতে থানায় গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টা আমার সাথে এসআই শাহ আলম আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থানা থেকে বের করে দেয়। তখন শাহ আলম আমাকে আরও বলেন, তুমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে কেনো গেছো?। মেয়ের মা আরও বলেন, আমাকে যে গালিগালাজ করেছে তার প্রমাণ থানার সিসি ফুটেজে রয়েছে।

পুলিশের এসআই শাহ আলম বলেন, ভুক্তভোগীর সাথে যদি খারাপ ব্যবহার করে থাকি তাহলে মামলা করে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

তালতলী থানার ওসি শাহ জালাল বলেন, আমি শুনেছি প্রেম করে ঐ স্কুল ছাত্রী চলে গেছে। মেয়ের সাথে আমি কথা বলেছি। তিনি নিজ ইচ্ছায় চলে গেছে। এখানে অপহরণ হয়নি।  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, নবম শ্রেনীর মেয়ে-ছেলে কি প্রেম করতে পারবে না? এছাড়া আমার কোনো এসআই ঐ মেয়ের মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থানা থেকে বের করে দিছে সেটা আমার জানা নেই। এখন আসলে আমরা মামলা নিবো।

এবিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল কে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW