১৬ বছর চালু হলো রাজশাহীর দামকুড়া পশুহাট

এম এম মামুন; রাজশাহী
: | আপডেট: ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম : | প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
১৬ বছর চালু হলো রাজশাহীর দামকুড়া পশুহাট
রাজশাহীর পবা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দামকুড়া পশুহাট দীর্ঘ ১৬ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে চালু করা হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দামকুড়া পশুহাট প্রাঙ্গণে গরু ও খাসি ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আয়োজক কমিটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাটের ইজারাদার শাহজাহান আলী। তিনি জানান, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি ১ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকায় এক বছরের জন্য হাটটি ইজারা নিয়েছেন। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উৎসাহিত করতে গরু প্রতি ৪০০ টাকা ও ছাগল প্রতি ২০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিক্রেতাদের জন্য কোনো টোল নেই বলে জানান ইজারাদার শাহজাহান আলী। উদ্বোধনী দিনে প্রথম গরু ও ছাগল ক্রয়কারীকে এক হাজার টাকা এবং একটি করে ছাতা উপহার দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শাহজাহান আলী বলেন, ১৯৮৯ সালে দামকুড়া পশুহাটটি প্রথম চালু হয়। তবে ২০০৮ সালের পর থেকে স্বৈরাচার সরকারের আমলে কৌশলে হাটটি বন্ধ করে রাখা হয়। একই দিনে নগরীর সিটি হাট ও দামকুড়া পশুহাট বসায় ইজারার অজুহাতে এটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এতে কাগজে-কলমে সব ঠিক থাকলেও সরকার প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবার সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি হাটটি ইজারা নিয়েছি। দামকুড়া ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্রামের বাসিন্দা নূর আলমের ছেলে আশিক প্রথম বিক্রেতা হিসেবে ৬ হাজার ৪০০ টাকায় একটি ছাগল বিক্রি করেন। ছাগলটি কেনেন দামকুড়া গ্রামের মনসুর আলী। দুইজনই উপহার হিসেবে পান এক হাজার টাকা ও একটি করে ছাতা। ছাগল ক্রেতা মনসুর আলী বলেন, আমি এই হাটের প্রথম ক্রেতা। ছাতা ও পুরস্কার পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছি। প্রচণ্ড গরমে ছাতা মাথায় দিয়ে খাসি কিনে বাড়ি যাচ্ছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন দামকুড়া হাট জামে মসজিদের পেশ ইমাম আব্দুল্লাহ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক কিরণ, সদস্য সচিব নওশাদ আলী, হাট ইজারা কমিটির সদস্য ফিরোজ কবিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং আশপাশের এলাকা থেকে আগত গরু ও ছাগল বিক্রেতা ও ক্রেতারা।
0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে