মেলান্দহে হেফাজতের নেতাকে মারধরের ঘটনা নিস্পত্তি

এফএনএস (শাহ জামাল; মেলান্দহ, জামালপুর) : | প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
মেলান্দহে হেফাজতের নেতাকে মারধরের ঘটনা নিস্পত্তি

জামালপুরের মেলান্দহের বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি শামসুদ্দিনকে মারধরের ঘটনাটি অবশেষে নিস্পত্তি হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বিরোধ নিস্পত্তি হয়। ইউএনও এস.এম. আলমগীর এবং নবাগত অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের সমন্বয়ে বিরোধ নিস্পত্তি কল্পে এক বৈঠকে আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। জামালপুর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাও. আবুল কাশেম, নির্বাহী সভাপতি-জামেয়া হুছাইনিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি শামসুদ্দিন, ইত্তেফাকুল ওলামা মেলান্দহ  শাখার সভাপতি মাও. রহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মাও. সোলায়মান হোসেন, বায়তুননুর জামে মসজিদের খতিব মাও. ইকরামুল্লাহ, মেলান্দহ থানা তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, নাংলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহ জামালসহ শীর্ষ পর্যায়ের আলেমগণ এ সময় উপস্থিত  ছিলেন। উল্লেখ্য, ১০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পুরাতন নাংলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি’ সমর্থিত স্থানীয়দের সাথে মতানৈক্যের এক পর্যায়ে জেলা হেফাজত ইসলামের নেতা মুফতি শামসুদ্দিনসহ কয়েকজন আলেম মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় ১২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্দ তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রহিমসহ বিএনপি’র নেতৃস্থানীয়রা আলেম সমাজের সাথে বৈঠক শেষে অভিযুক্ত পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেনকে বহিস্কার এবং নাংলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আ: রশিদ মেম্বার ও সদস্য জহুকে অব্যাহতি দেয়া হয়।  এতেও আলেম সমাজ এবং তৌহিদি জনতার ক্ষোভ প্রশমিত হচ্ছিল না। অবশেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এগিয়ে আসায় বিরোধটি নিস্পত্তির এক নজির স্থাপিত হলো।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে