রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে টানা ২৬ ঘণ্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত একদল আন্দোলনকারী। তারা বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
আন্দোলনকারীরা আহত ব্যক্তিদের তিনটি ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে দুটি করার দাবি জানাচ্ছেন। সরকারের ঘোষিত তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ব্যক্তিরা চাকরির সুযোগ ও পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি পেলেও এটি বাস্তবায়নের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে বলে তারা দাবি করছেন। তাদের প্রশ্ন, যারা বয়স্ক ও কর্মক্ষম নন, তারা কীভাবে চাকরি পাবেন? তাই তারা ‘এ’ ও ‘বি’ এই দুই ক্যাটাগরি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের আরেকটি দাবি হলো, আহত ব্যক্তিদের জন্য একটি স্থায়ী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে আহতদের চিকিৎসার জন্য হটলাইন চালু করা।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটিয়েছেন এবং তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনকারী নাজমুল আহসান, যিনি কিশোরগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, জানান, “সরকার আমাদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করছে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের সি ক্যাটাগরিতে রেখে আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, এই ক্যাটাগরিগুলো দুইটিতে নামিয়ে আনতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আহতরা রওনা দিয়েছেন এবং দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে আরও আন্দোলনকারী প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে যোগ দেবেন।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য তিনটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করেছিল:
তবে আন্দোলনকারীরা এই ক্যাটাগরি ব্যবস্থাকে বৈষম্যমূলক বলে দাবি করছেন এবং তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।