কোনো ম্যাচ না জিতেই শেষ হলো বাংলাদেশ দলের মিশন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবু স্বস্তি এই- সব ম্যাচ হারতে হয়নি! শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে বৃষ্টির কারণে সেই ম্যাচ হয়েছে পণ্ড। এতে হতাশা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারতের পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় বাংলাদেশের। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা জয় দিয়ে শেষ করতে মরিয়া ছিল টাইগাররা। বৃষ্টিতে খেলতে না পারায় হতাশা জানিয়ে তাই শান্ত বলেন, ‘খুবই হতাশাজনক। তবে এগুলো তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ম্যাচটি খেলতে মুখিয়ে ছিলাম। তবে ক্রিকেটে এটা হতেই পারে।’ বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স সমর্থকদের জন্য ছিল হতাশার। তবে শান্ত খুশি দলের লড়াকু মানসিকতায়। আগের দুই ম্যাচেই টাইগাররা একপর্যায়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল। আপাতত এ বিষয়টাই প্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগার দলপতির জন্য। শান্ত জানান, ‘দুটি ম্যাচ হারলেও যেভাবে দীর্ঘক্ষণ লড়াই করেছি এটা প্রেরণাদায়ক। ছোট ছোট কিছু ভুল করেছি। সামনে ভালো করে পরিকল্পনা করে, ভুল শুধরে মাঠে নামব। আমরা দুই ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, এটাই ভালো দিক।’ ব্যাটিং ইউনিট হতাশ করলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সমীহ জাগানিয়া বোলিং দেখিয়েছে বাংলাদেশ। আর তাতে দলের অধিনায়কও খুবই খুশি। পেসাররা তো বটেই, রিশাদ হোসেনের কথাও বললেন আলাদা করে। শান্ত বলেন, ‘বোলিং ইউনিট নিয়ে আমরা একসময় সংগ্রাম করতাম। বিশেষ করে ফাস্ট বোলিং নিয়ে। গত কয়েক বছরে অনেকে উঠে এসেছে। দেশেও আরও কজন আছে যারা দারুণ করছে। রানা, তাসকিনরা যেভাবে বল করছে আমি খুবই খুশি। সাথে অভিজ্ঞ মুস্তাফিজ। আমাদের বোলিং ইউনিট এখন খুব ভালো। ভালো স্পিনারও আছে, যেমন লেগ স্পিনার রিশাদ। পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা খেলে এবং দলের জন্য সেরাটাই খেলে।’ তবে সঞ্চালক রমিজ রাজার কাছে শান্ত স্বীকার করেছেন, মাঝখানের ওভারগুলোতে স্ট্রাইক রোটেশন নিয়ে আরও কাজ করতে হবে টাইগারদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেটে আরও প্র্যাকটিস করতে হবে স্ট্রাইক রোটেশন নিয়ে, যেসব চ্যালেঞ্জ ম্যাচে আসে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি ছেলেরা এখন বুঝতে পারবে কি করা উচিৎ।’